কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?”
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
আল্লাহ বললেন—“আমি পূর্ণ করেছি তোমাদের দ্বীন।”
তবু তুমি বলো—“না, আমাদের আরও দরকার।”
কে তোমাকে এই সাহস দিলো,
যে আল্লাহর পূর্ণ কিতাবকে অপূর্ণ বলো?
নবীর হাতে যে আলো নেমেছিল,
যা সাহাবারা বুক দিয়ে আঁকড়ে ধরেছিল,
আজ তা তাকের ওপরে অলংকার,
আর হাদিসের বই হলো তোমার জীবন-শাসন।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
নবী বলেছিলেন—“আমার নামে মিথ্যা বানিও না।”
তিনি সতর্ক করেছিলেন—“কুরআনের পাশে কিছু লিখো না।”
কারণ তিনি জানতেন,
মানুষ কুরআন ছেড়ে দেবে মানুষের বর্ণনা।
আজ কি তাই হয়নি?
কুরআন পড়ে শুধু মরদেহের পাশে,
কুরআন পড়ে শুধু তাবিজের কাগজে,
কিন্তু জীবনের আইন, সমাজের শাসন—
সব চালাও হাদিসের নামে!
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
তুমি কি জানো—নবীর জীবদ্দশায় হাদিস লেখা নিষিদ্ধ ছিলো?
তিনি চাননি তাঁর কথাকে কুরআনের সমকক্ষ করা হোক।
তিনি চাননি মানুষ কুরআন বাদ দিয়ে
তাঁর নামে ঘুরতে থাকুক গল্পের বনভূমিতে।
কিন্তু তুমি?
তুমি হাদিসকে বানালে কুরআনের প্রতিদ্বন্দ্বী!
কুরআনের আয়াত পরিষ্কার, সহজ, দৃঢ়,
কিন্তু হাদিসের গল্প শত শত ভিন্নতা,
একই বিষয়ে দশ মত,
একজন বলে হালাল, আরেকজন বলে হারাম,
তুমি পড়ে গেলে বিভ্রান্তির ফাঁদে।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
চার খলিফা কি হাদিস লিখেছিলেন?
না, তারা লিখেছিলেন শুধু কুরআন।
আবু বকর কেঁদেছিলেন—
“আমাদের হাতে আছে আল্লাহর কিতাব,
তাই হাদিস লেখার দরকার নেই।”
উমর কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলেন—
“মানুষকে হাদিসে ডুবিও না,
কুরআন থেকে তাদের দূরে সরিও না।”
উসমান কুরআনের কপি এক করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন—
কেন তিনি হাদিস সংগ্রহ করলেন না?
আলী বলেছিলেন—“এই কুরআনই আমাদের হিদায়াত।”
তাহলে তুমি আজ কার পথে?
খলিফাদের পথে, নাকি ইমামদের অন্ধকার গলিতে?
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
তুমি কি জানো—হাদিস লেখা শুরু হলো নবীর মৃত্যুর
দুই শত বছর পরে!
তাহলে এত বছর মানুষ কি করেছিলো?
কি দিয়ে নামাজ পড়েছিলো,
কি দিয়ে রোজা রেখেছিলো,
কি দিয়ে যুদ্ধ করেছিলো,
কি দিয়ে সমাজ চালিয়েছিলো?
তারা করেছিলো শুধু কুরআন দিয়ে!
তাদের ইসলাম ছিলো কুরআনভিত্তিক,
তাদের ঐক্য ছিলো কুরআনভিত্তিক,
তাদের শক্তি ছিলো কুরআনভিত্তিক।
কিন্তু আজ তুমি কুরআন ছেড়ে
হাদিসের বনে হারিয়ে গেলে।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
তুমি বলো—“হাদিস ছাড়া কুরআন বোঝা যায় না।”
এটা কি আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়?
তিনি কি জানতেন না যে মানুষ বুঝবে না?
তিনি কি বুঝেননি যে মানুষ অজ্ঞ?
তিনি তো নিজেই বলেছেন—
“আমি কুরআনকে সহজ করেছি বোঝার জন্য।”
তাহলে তুমি কেন কঠিন করো?
তুমি কি আল্লাহকে মিথ্যা প্রমাণ করছো?
তুমি কি নবীকে ব্যর্থ বলছো?
কারণ নবী তো শুধু কুরআন দিয়েই শিক্ষা দিয়েছিলেন।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
তুমি নামাজ পড়ো, রোজা রাখো, হজ করো—
সব কুরআনেই আছে।
তুমি জানো সালাত মানে সংযোগ,
রোজা মানে আত্মসংযম,
যাকাত মানে দান-খয়রাত,
হজ মানে সমবেত যাত্রা।
সবকিছু পরিষ্কার কুরআনে,
তাহলে হাদিসের ঝগড়ায় পড়ো কেন?
একজন ইমাম বলে এভাবে,
আরেকজন বলে ওভাবে,
তুমি বিভক্ত হলে চার মাযহাবে,
তারপর হাজার ফিকহে,
তারপর লাখ ফতোয়ায়!
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
আজ মুসলমান দুর্বল কেন?
কারণ তারা কুরআন ছাড়লো।
আজ মুসলমান বিভক্ত কেন?
কারণ তারা মানুষের বই আঁকড়ে ধরলো।
আজ মুসলমান পরাধীন কেন?
কারণ তারা আইন নেয় সংসদ থেকে,
শরিয়াহ মানে বোঝে মোল্লার বুলি।
আজ মুসলমান অপমানিত কেন?
কারণ তারা কুরআনের পতাকা ফেলে দিয়েছে,
আর ইমামের পতাকা তুলেছে মাথায়।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
তুমি কুরআন বানালে মৃত্যুর কিতাব,
কবরের খতমের আয়াত,
তাবিজের দোয়া।
তুমি কুরআন পড়ো শুধু সুরে,
কিন্তু বোঝো না তার অর্থ।
তুমি রাখো কুরআন তাকের উপরে,
কিন্তু আইন চালাও মানুষের লেখা।
তুমি পীরের দরবারে মাথা নত করো,
কবরের ধুলায় সেজদা দাও,
কিন্তু আল্লাহর কিতাবের সামনে দাঁড়াও না!
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
তুমি হাদিস নিয়ে ঝগড়া করো,
ফেকাহ নিয়ে মারামারি করো,
মানুষের কিতাব নিয়ে গালাগালি দাও।
কিন্তু কুরআনের এক আয়াত বোঝার চেষ্টা করোনি।
তুমি ফতোয়ার বনে হারিয়ে গেলে,
মোল্লার কণ্ঠে ছুটে গেলে,
কিন্তু আল্লাহর বাণীর সামনে থামলে না।
কুরআন চেয়েছিল তোমাদের এক জাতি বানাতে,
কিন্তু তুমি বানালে হাজার দল।
তুমি ঐক্য হারালে, বিভক্ত হলে,
আজ তোমার ভ্রাতৃত্ব ভেঙে গেছে।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
নবী তো ছিলেন কুরআনের মানুষ,
চলন্ত কুরআন।
তিনি কুরআনের বাইরে কিছু মানেননি,
কুরআনের বাইরে কিছু বলেননি।
তাহলে তুমি কেন বলো—
“কুরআন যথেষ্ট নয়, আমাদের দরকার হাদিস”?
তুমি কি নবীকে অপমান করছো না?
তুমি কি বলছো—
“হে নবী, তুমি কুরআন মানলে ভুল করলে”?
তুমি কি বোঝো না—
এটাই প্রকৃত বিদ্রোহ?
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
সাহাবারা যুদ্ধ করেছিলেন কুরআনের পতাকা হাতে।
তারা শাসন করেছিলেন কুরআনের আইন মেনে।
তারা মাযহাব বানাননি,
তারা ফেকাহ লিখেননি।
তারা শুধু বলতেন—“আল্লাহর কিতাবে ফিরে আসো।”
কিন্তু তুমি?
তুমি সাহাবার পথে নও,
তুমি ইমামের নামে বিভক্ত,
তুমি মোল্লার নামে লড়াই করো,
তুমি কুরআন ফেলে মানুষের বর্ণনা মানো।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
আজ যদি সত্যি কুরআন মানতে,
তাহলে সমাজে অন্যায় টিকতো না,
রাজনীতিতে লুটেরা বাঁচতো না,
অর্থনীতিতে সুদ চলতো না,
নারীর অধিকার পিষ্ট হতো না।
আজ যদি কুরআন মানতে,
তাহলে মুসলমান হতো এক দেহ,
এক পতাকা, এক জাতি।
কিন্তু তুমি কুরআন ছেড়ে দিলে,
মানুষের বই আঁকড়ে ধরলে,
অন্ধ অনুকরণে হারালে শক্তি।
কুরআনই যথেষ্ট, হাদিসের ভিড়ে কেন হারালে তুমি?
এখনো সময় আছে—
ফিরে এসো কুরআনের কাছে।
তাকের ওপর নয়,
বুকে, মগজে, জীবনে নিয়ে আসো।
মানুষের বই নয়,
স্রষ্টার কিতাব ধরো।
মাযহাবের বেড়া নয়,
আল্লাহর সরল পথ ধরো।
মোল্লার বুলি নয়,
আল্লাহর কালাম শোনো।
কুরআন ছাড়া কিছুই যথেষ্ট নয়।
তোমার নবী মানতেন কুরআন,
তুমি কি মানবে কুরআন?
,,,
0 Comments