Subscribe Us

মোল্লাদের কারবার

 


“মোল্লাদের কারবার”

লিখকঃ- মাহাতাব আকন্দ 


বন্ধুগণ!

আজ আমি তোমাদের সামনে কথা বলবো,

যা শুনলে তোমার বুক কেঁপে উঠবে।

মোল্লারা কুরআন ফেলে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

মোল্লারা হাদিসকে বানিয়েছে পেরেকের মতো,

যা দিয়ে মুসলমানদের কণ্ঠ ও হাত বাঁধা।


বন্ধুগণ!

তুমি কি জানো—

নবী হাদিস লিখতে কখনো অনুমতি দেননি?

চার খলিফা হাদিস লিখতে এগোইনি।

কেন?

কারণ মানুষ তখনও প্রস্তুত ছিল না,

কারণ তারা হাদিসকে আইনের জায়গা বানাতে পারে,

কারণ কুরআনই যথেষ্ট ছিল হিদায়াতের জন্য।

কিন্তু আজ তুমি দেখি—

মোল্লারা লিখেছে, ব্যাখ্যা দিয়েছে,

মানুষের কণ্ঠে বাঁধা দিয়েছে।


বন্ধুগণ!

মোল্লারা কুরআনকে আড়ালে রেখেছে,

হাদিসকে বানিয়েছে নিরাপদ মন্ত্র,

যা দিয়ে বিভক্তি তৈরি হয়।

এক মোল্লা বলে—“এই হাদিস মেনে চলো।”

অন্য মোল্লা বলে—“না, সেটি ভুল।”

মানুষ বিভ্রান্ত, মানুষ হারিয়ে গেছে,

কিন্তু কুরআনের আলো নিভে গেছে।


বন্ধুগণ!

কুরআন বলে—

“আমি তোমাদের জন্য যথেষ্ট করেছি হিদায়াত।”

তুমি কি শুনেছো?

তুমি কি মানেছো?

না, মোল্লারা বলেছে—

“এটা যথেষ্ট নয়, আমাদের দরকার ফতোয়া।”

“এটা যথেষ্ট নয়, আমাদের দরকার হাদিসের ব্যাখ্যা।”

তুমি তার কণ্ঠে দৌড়াও,

কিন্তু আল্লাহর কণ্ঠে থেমে যাও না।


বন্ধুগণ!

মোল্লারা বলছে—“ফতোয়া হলো ঈমানের রক্ষা।”

কিন্তু কুরআন বলছে—

“সত্যবাদিতা ও তাকওয়া যথেষ্ট।”

মোল্লারা শাসন করছে,

কিন্তু তারা শাসন করছে মানুষের ভয় দিয়ে।

মোল্লারা বিতরণ করছে হাদিসের পৃষ্ঠা,

কিন্তু তারা বিতরণ করছে বিভাজন।

মোল্লারা তুলে ধরে মাযহাবের বেড়া,

কিন্তু তারা কুরআনের একতা ভেঙে দেয়।


বন্ধুগণ!

আজ মুসলিম সমাজ দুর্বল কেন?

কারণ মোল্লাদের ফতোয়ার জালে মানুষ আটকে গেছে।

আজ মুসলিম সমাজ বিভক্ত কেন?

কারণ মোল্লারা কুরআনকে পিছনে রেখেছে।

আজ মুসলিম সমাজ পরাধীন কেন?

কারণ তারা কেবল মানুষকে মানছে, আল্লাহকে নয়।

আজ মুসলিম সমাজ অপমানিত কেন?

কারণ তারা আল্লাহর বাণী ছেড়ে মোল্লার বাণী গ্রহণ করেছে।


বন্ধুগণ!

তুমি কি জানো—

নবী শুধু কুরআনকে জীবিত রেখেছিলেন।

তিনি কখনো হাদিসকে আইন বানাননি।

তিনি কখনো কোন মোল্লার ফতোয়া বানাননি।

তাহলে কেন তুমি মোল্লার ফতোয়ার সাথে চলে যাচ্ছো?

তুমি কি বুঝো না, এটাই প্রকৃত বিদ্রোহ?

কুরআনের প্রতি অমান্য।


বন্ধুগণ!

মোল্লারা কুরআনের নামে বাজি ধরেছে,

মানুষকে বিভক্ত করেছে।

একজন বলে—“এটি হালাল।”

অন্যজন বলে—“এটি হারাম।”

তুমি কি কখনো ভেবেছো—

নবী কি এমন বিভাজন চাইতেন?

নবী চেয়েছিলেন কেবল একতা,

কেবল সত্যের পথে চলা।


বন্ধুগণ!

তুমি হাদিস নিয়ে লড়াই করো,

ফতোয়ার কাছে মাথা নত করো,

কিন্তু কুরআনের আকাশে চোখ রাখো না।

মোল্লার কথা দিয়ে তুমি ঈমানকে বানিয়ে ফেলেছোকাগজের বন্ধন।

কিন্তু কুরআন চায়—জীবনের মুক্তি।


বন্ধুগণ!

আজ মোল্লাদের কারবার দেখ,

কেমন তারা সমাজকে বানিয়েছে বাঁধনভূমি।

তুমি শোনো না আল্লাহর কণ্ঠ,

কিন্তু শোনো মোল্লার কণ্ঠ।

তুমি বিশ্বাস করো মানুষের ব্যাখ্যা,

কিন্তু বিশ্বাস করো না আল্লাহর কিতাব।

তুমি জীবন সাজাও মোল্লার পথে,

কিন্তু কুরআনের পথ ফেলে রেখেছো।


বন্ধুগণ!

এখনো সময় আছে জেগে ওঠার।

মোল্লার ফতোয়া নয়,

কুরআনের হুকুম মানো।

মানুষের ব্যাখ্যা নয়,

স্রষ্টার বাণী শোন।

হাদিস নয়, কেবল কুরআন যথেষ্ট।

মোল্লার ফতোয়া নয়, কেবল আল্লাহর আইন যথেষ্ট।

এটাই সত্যিকার মুক্তি।


বন্ধুগণ!

যদি তুমি সত্যি বিশ্বাস করো,

তাহলে মোল্লার কথা ফেলে দাও।

কুরআনকে বুকে তুলে নাও।

হাদিসকে বন্ধু বানাও, প্রমাণ নয়।

মোল্লার ফতোয়া যেন মাথার ওপরে চাপ না ফেলে।

জীবনকে আল্লাহর হুকুমে সাজাও।


বন্ধুগণ!

এখনো সময় আছে।

ফিরে এসো কুরআনের পথে।

মোল্লাদের কারবার ছাড়ো।

সত্যের পথে দাঁড়াও।

চুপ থেকো না, মুখ খুলো।

কলমকে তলোয়ার বানাও,

কণ্ঠকে কুরআনের বাণী বানাও।

যে দিন তুমি সাহস করবে,

সেই দিন মুসলিম আবার জেগে উঠবে।


বন্ধুগণ!

মোল্লাদের কারবার শেষ হবে—

যখন মুসলমানরা জেগে উঠবে।

যখন তারা কুরআনের আলোয় চলবে।

যখন তারা জীবনকে সালাতে সাজাবে।

মোল্লারা হারবে ক্ষমতা,

হাদিস আর ফতোয়ার জাল ভেঙে যাবে।

একটি সত্যিকার মুসলিম জাতি আবার গড়ে উঠবে।




Post a Comment

0 Comments