“কুরআন – বিশ্বজনীন আলো”
লিখকঃ মাহাতাব আকন্দ
বন্ধুগণ!
শোনো!
কুরআন লিখা হয়েছে আল্লাহর কালাম হিসেবে,
যা সকল মানুষের জন্য।
এটি নির্ধারিত নয় কোনো জাতি, কোনো ভাষা, কোনো সময়ের জন্য।
আরব, চীন, আফ্রিকা, ইউরোপ—যেখানে হোক না কেন, কুরআন সমানভাবে প্রযোজ্য।
যে ভাষায় পড়ো, যে দেশে থাকো,
কুরআন তোমাকে আলোর পথ দেখাবে।
“এটি মানুষের জন্য নির্দেশ, যা তোমাকে সঠিক পথ দেখাবে।” (সুরা আল-ইসরা 17:9)
কিন্তু আমরা কি তা মানি?
না।
আমরা মানুষের বানানো সীমার মধ্যে আটকে থাকি।
মানুষের বানানো ফতোয়া, হাদিসের ব্যাখ্যা, মাযহাবের নিয়মের পিছে চলতে থাকি।
কুরআনকে আমরা ভুলে যাই।
ফলাফল: বিভ্রান্তি, বিভাজন, মিথ্যা, হানাহানি।
বন্ধুগণ!
প্রথম মুসলিমরা—সাহাবারা—কেবল কুরআনের নির্দেশ মানতেন।
তাদের জীবন সহজ, নিখুঁত।
তারা বিভাজিত হয়নি।
তারা কোন দলের পিছু হাঁটেনি।
তাদের একমাত্র পতাকা ছিল কুরআনের পতাকা।
তারা জানতেন, আল্লাহর কিতাব যথেষ্ট।
যেখানে কুরআন আছে, সেখানে বিভ্রান্তি নেই।
যেখানে কুরআন নেই, সেখানে বিভাজন, মিথ্যা, লড়াই।
বন্ধুগণ!
কিন্তু আজ?
মানুষ অতিরিক্ত হাদিস, ফতোয়া, মাযহাবের পিছে পড়ে আছে।
মানুষ চায় ক্ষমতা, স্বার্থ, প্রতিপত্তি।
ফলাফল: সমাজ বিভক্ত, জাতি বিভাজিত, এক পতাকা নেই।
প্রথম চার খলিফা হাদিস লিখেননি।
কেন? কারণ তারা জানতেন—লিখা হাদিস ভুল হতে পারে।
মানুষের বানানো নিয়ম কুরআনের বিপরীতে যেতে পারে।
তারা সতর্ক ছিলেন।
কেবল মুখে মুখে শিক্ষা করতেন।
কুরআনই যথেষ্ট ছিল।
বন্ধুগণ!
আজ আমরা সেই সতর্কতা ভুলে গেছি।
আমরা বলি—“হাদিস হলো চূড়ান্ত, কুরআন যথেষ্ট নয়।”
ভ্রান্তি!
মানুষের তৈরি ফতোয়া, আইন, ব্যাখ্যা—সবই সহায়ক হতে পারে,
কিন্তু কুরআনের বিকল্প নয়।
যে কেবল মানুষের বানানো নিয়ম মানে, সে বিভ্রান্তির দিকে হাঁটছে।
যে কুরআন মানে, সে আলোর পথে।
বন্ধুগণ!
কুরআন বিশ্বজনীন।
এটি শুধু আরবের জন্য নয়।
এটি চীনের জন্য, আফ্রিকার জন্য, ইউরোপের জন্য, এশিয়ার জন্য।
সব সময়, সব স্থান, সব মানুষ—একই আদেশ।
যে কুরআন মানে, সে বাঁচে আলোর পথে।
কিন্তু আমরা মানুষের বানানো সীমা মানি।
আমরা বলি—“এই দেশ, এই সময়, এই ভাষায় কুরআন মানে না।”
ভ্রান্তি!
কুরআন সব সময়ই প্রযোজ্য।
মানুষই সীমাবদ্ধ।
বন্ধুগণ!
কুরআন বলছে—
“আমি কুরআনকে সহজ করেছি বোঝার জন্য, যারা পড়বে তারা বুঝতে পারবে।” (সুরা আল-ক্বারিয়াহ 101:6)
কিন্তু আমরা কঠিন বানাই।
ভুল ব্যাখ্যা করি।
ফলাফল: বিভ্রান্তি, লড়াই, মিথ্যা প্রচলন।
মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য হাদিস, ফতোয়া ব্যবহার হচ্ছে।
কিন্তু কুরআন যথেষ্ট।
যেখানে কুরআন, সেখানে বিভাজন নেই।
যেখানে কুরআন নেই, সেখানে বিভ্রান্তি, ঝগড়া, মিথ্যা।
বন্ধুগণ!
সাহাবারা কেবল কুরআনের দিকে তাকাত।
তারা মুখে মুখে শিক্ষা পেত।
লিখিত হাদিস প্রয়োজন ছিল না।
প্রথম চার খলিফা হাদিস লিখেননি।
কারণ তারা জানতেন সতর্কতা দরকার।
যে কুরআন মানে, সে বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত।
যে হাদিস ও ফতোয়া মানে, সে বিভ্রান্তির দিকে।
বন্ধুগণ!
কুরআন মানলে—
তুমি ফতোয়ার জঙ্গলে হারাবে না।
তুমি মানুষের বানানো আইন, নিয়মের পিছে হাঁটবে না।
তুমি বিভাজনের জালে আটকে যাবে না।
তুমি আলোর পথে থাকবে।
কুরআনই যথেষ্ট।
কুরআনই চূড়ান্ত।
বন্ধুগণ!
আজও সময় আছে।
ফিরে এসো কুরআনের আলোয়।
হাদিস কেবল সহায়ক হতে পারে,
কিন্তু কুরআনই চূড়ান্ত।
নবী কেবল আল্লাহর কিতাব মানতেন।
আমরা কি মানি?
বন্ধুগণ!
আজ যদি সত্যিই কুরআন মানত,
সমাজে অন্যায় হতো না।
রাজনীতিতে লুটেরা বাঁচত না।
অর্থনীতিতে সুদ চলত না।
নারীর অধিকার পিষ্ট হতো না।
আজ যদি কুরআন মানত,
মুসলমান হতো এক দেহ, এক পতাকা, এক জাতি।
কিন্তু মানুষ কুরআনকে ফেলে দিয়েছে।
মানুষ মানুষ বানানো আইন মানছে।
মানুষ বিভ্রান্তি বেছে নিচ্ছে।
বন্ধুগণ!
কুরআন প্রতিটি যুগে প্রযোজ্য।
যেখানে কুরআন মানা হয়, সেখানে বিভ্রান্তি নেই।
যেখানে কুরআন নেই, সেখানে বিভ্রান্তি, মিথ্যা, লড়াই।
মানুষের বানানো দল, সংগঠন—সবই ক্ষণস্থায়ী।
কিন্তু কুরআনের আলো চিরন্তন।
নবী কেবল কুরআন মানতেন।
আমরা কি মানি?
0 Comments