Subscribe Us

বিদ্রোহী যুবকদের কথা। আসহাবে কাহফের ইতিহাস


 বিদ্রোহী যুবকদের কথা

লিখকঃ মাহাতাব আকন্দ

رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، وَسَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَسَلَامٌ عَلَى مُحَمَّدٍ الَّذِي جَاءَ بِالْقُرْآنِ مُهَيْمِنًا
(হে প্রভু! আমি আশ্রয় চাই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে, আমি আশ্রয় চাই হে প্রভু! তাদের উপস্থিতি থেকেও। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টির পালনকর্তা। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর যারা হেদায়াত মেনে নিয়েছে। আর শান্তি বর্ষিত হোক সেই মুহাম্মাদের উপর, যিনি কুরআন নিয়ে এসেছেন প্রভুত্বকারী বিধান হিসেবে।)

বন্ধুগণ!
আমি আজ আপনাদের নিয়ে যাবো এক গুহার অন্ধকারে।
না, এটা কোনো ভৌতিক কাহিনী নয়।
এটা ইতিহাস—যে ইতিহাস কুরআন অমর করে রেখেছে।
এটা তরুণদের গল্প, যারা বিদ্রোহ করেছিল মিথ্যার বিরুদ্ধে।
যারা সিংহাসনের হুমকিকে অগ্রাহ্য করেছিল।
যারা সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠকে তাচ্ছিল্য করে বলেছিল—
“আমাদের রব আসমান-জমিনের রব, তোমরা যাকে উপাসনা করো, তা আমরা মানি না।”

বন্ধুগণ!
সূরা কাহফে তাদের কথা এসেছে।
কাহিনী শুরু হয়েছে কিছু যুবকের সাথে, যাদের বুকে আগুন জ্বলছিল।
সমাজে মূর্তি পূজা ছিল স্বাভাবিক।
মানুষ রাজাকে উপাস্য মনে করত।
যাজকরা শাসকের দোসর হয়ে ধর্মকে বানিয়ে ফেলেছিল ব্যবসা।
মিথ্যা দেবতার নামেই চলছিল সমাজ।

কিন্তু সেই সমাজের বুক চিড়ে কিছু তরুণ ঘোষণা দিল:
"رَبُّنَا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَن نَّدْعُوَا۟ مِن دُونِهِۦٓ إِلَـٰهًۭا"
“আমাদের রব আসমান ও জমিনের রব, আমরা তাঁকে বাদ দিয়ে আর কোনো উপাস্য ডাকব না।” (সূরা কাহফ 18:14)

বন্ধুগণ!
একটা তরুণের কণ্ঠ যখন সত্য উচ্চারণ করে, তখন সেটা শাসকের কানে বজ্রধ্বনির মতো লাগে।
রাজা কেঁপে ওঠে।
কেননা, সত্য হলো আগুন, যা মিথ্যার সিংহাসনকে জ্বালিয়ে দেয়।

এই তরুণরা জানত—তাদের জীবনের পরিণতি মৃত্যু।
তবুও তারা মাথা নত করেনি।
তারা বলেছিল—
👉 আমরা সিজদা করব না মানুষের বানানো মূর্তিতে।
👉 আমরা মাথা নত করব না রাজা-পুরোহিতদের ফতোয়ায়।
👉 আমরা মাথা নত করব শুধু কুরআনের রবের সামনে।

বন্ধুগণ!
ষড়যন্ত্র শুরু হলো।
তাদের বিরুদ্ধে দরবারে মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হলো।
তাদের বলা হলো:
“রাজাকে উপাস্য মানো, নইলে মৃত্যুদণ্ড!”
তাদের শাসক চাইলো, এই বিদ্রোহী তরুণদের রক্ত ঝরিয়ে সমাজে ভয় ঢুকিয়ে দিতে।
কিন্তু তারা ভীত হয়নি।
তারা সিদ্ধান্ত নিল—
আমরা রাজাকে ছাড়ব, সমাজকে ছাড়ব, শহরকে ছাড়ব—
কিন্তু রবকে ছাড়ব না।

বন্ধুগণ!
তারা শহর ছেড়ে পালিয়ে গেল।
কোথায় যাবে তারা?
কোনো আশ্রয় নেই।
মৃত্যু চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে।
তখন তারা দৌড়ে গেল এক পাহাড়ের গুহার দিকে।

কুরআন বলছে:
"إِذْ أَوَى ٱلْفِتْيَةُ إِلَى ٱلْكَهْفِ فَقَالُوا۟ رَبَّنَآ ءَاتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةًۭ وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًۭا" (সূরা কাহফ 18:10)
“যখন যুবকেরা গুহায় আশ্রয় নিল, তখন তারা বলল: হে আমাদের রব! তোমার পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করো, আর আমাদের জন্য সঠিক পথ তৈরি করে দাও।”

বন্ধুগণ!
ভাবুন তো, শহর থেকে পালিয়ে কয়েকজন তরুণ এক গুহায় ঢুকছে।
তাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই।
তাদের কাছে কোনো বাহিনী নেই।
তাদের কাছে ছিল কেবল একটাই শক্তি—
👉 আল্লাহর উপর ভরসা।

তারা বলেছিল—
“হে রব! আমরা মানুষকে ছেড়েছি, এখন তোমাকেই আঁকড়ে ধরি।”

বন্ধুগণ!
আল্লাহ তাদের ডাকে সাড়া দিলেন।
মানুষ ঘুমাতে পারে কয়েক ঘণ্টা, কয়েক দিন, হয়তো কয়েক মাস।
কিন্তু আল্লাহ তাদের ঘুম পাড়ালেন তিন শত বছরেরও বেশি সময়ের জন্য।
"فَضَرَبْنَا عَلَىٰٓ ءَاذَانِهِمْ فِى ٱلْكَهْفِ سِنِينَ عَدَدًۭا" (সূরা কাহফ 18:11)
“তখন আমরা তাদের কানে আঘাত করলাম (অর্থাৎ নিদ্রায় শুইয়ে দিলাম) বহু বছরের জন্য।”

বন্ধুগণ!
এই নিদ্রা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ঘোষণা।
ঘুমন্ত দেহ, কিন্তু জীবন্ত ইতিহাস।
গুহার অন্ধকারে আল্লাহ তাদের বানালেন সত্যের প্রতীক।

যেন বলা হলো—
👉 যারা আল্লাহর জন্য বিদ্রোহ করে, আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন।
👉 শাসকের সৈন্য তাদের কিছুই করতে পারল না।
👉 সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজ তাদের মুছে দিতে পারল না।

বন্ধুগণ!
এটা ছিল না সাধারণ নিদ্রা।
তাদের শরীর নষ্ট হয়নি।
আল্লাহ তাদের দেহকে ঘুরিয়ে দিতেন, যাতে ক্ষয় না হয়।
সূর্যের আলো তাদের গুহার ভেতরে ঢুকত না, তবুও তারা আলোকিত থাকত।

কুরআন বলছে:
"وَتَرَى ٱلشَّمْسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَٰوَرُ عَن كَهْفِهِمْ ذَاتَ ٱلْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ ٱلشِّمَالِ وَهُمْ فِى فَجْوَةٍۢ مِّنْهُ" (সূরা কাহফ 18:17)
“তুমি দেখবে সূর্য উদিত হলে তাদের গুহার ডান দিকে হেলে যায়, আর অস্ত গেলে বাম দিকে সরে যায়, আর তারা ছিল গুহার এক প্রশস্ত স্থানে।”

বন্ধুগণ!
আসহাবে কাহফের গল্প কেবল একটা অলৌকিক ঘটনা নয়।
এটা হলো এক বিদ্রোহী বার্তা।

👉 যখন সমাজ মিথ্যা দেবতাকে উপাসনা করে, তখন সত্যের যুবকরা বিদ্রোহ করবে।
👉 যখন শাসক নিজেকে রব সাজায়, তখন কুরআন মানা মানেই বিদ্রোহ।
👉 যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিড়ে মানুষ ডুবে যায়, তখন কুরআন অনুসারীরা একা দাঁড়ায়।

বন্ধুগণ!
এই গুহার তরুণরা আমাদের শিখিয়েছে—
👉 সত্যের পথে চলতে গেলে হয়তো গুহায় যেতে হবে, সমাজ থেকে নির্বাসিত হতে হবে।
👉 সত্যের পতাকা এক হাতে তুলতে গেলে মৃত্যুর ষড়যন্ত্রের মুখে পড়তে হবে।
👉 কিন্তু ভয় নেই—আল্লাহর কাছে যারা আশ্রয় নেয়, তারা রক্ষা পায়।

বন্ধুগণ!
আজ আমরা কী করছি?
আমরাও কি সেই তরুণদের মতো সাহসী?
নাকি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিড়ে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি?

আজও মানুষ মূর্তি পূজা করছে, শুধু রূপ বদলেছে।
আজও শাসকরা নিজেদের আইনকে আল্লাহর বিধানের ওপরে বসাচ্ছে।
আজও ধর্মব্যবসায়ীরা মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে সত্যের আলো নিভিয়ে দিতে চাইছে।

এমন সময় আমাদেরও দরকার নতুন “আসহাবে কাহফ”—
যুবক-যুবতী যারা কুরআনের পতাকা তুলে বলবে:
👉 আমরা কারো দাস নই,
👉 আমরা কারো শরীয়তের শিকলে আবদ্ধ নই,
👉 আমরা কেবল কুরআনের দাস।

বন্ধুগণ!
আল্লাহ বলেন:
وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَاوَرُ عَن كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَهُمْ فِي فَجْوَةٍ مِّنْهُ
(সূরা কাহাফ ১৮:১৭)
অর্থ: “তুমি দেখবে সূর্য যখন উদিত হয়, তখন তাদের গুহা থেকে ডান দিকে হটে যায়, আর যখন অস্ত যায় তখন বাম দিক দিয়ে এড়িয়ে যায়। আর তারা ছিলো গুহার ভেতরে প্রশস্ত জায়গায়।”

এ দৃশ্য কেবল প্রকৃতির খেলা নয়, বরং আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থা। যুবকদের দীর্ঘ ঘুমের সময় সূর্যের আলো এমনভাবে পড়ত যাতে তাদের দেহ নষ্ট না হয়। সূর্যের তাপ একদিকে জীবাণু নাশ করতো, অন্যদিকে সরাসরি শরীরের ক্ষতি হতো না। এটা আমাদের জন্য শিক্ষা যে, আল্লাহ যার পক্ষে থাকেন, তিনি তার জন্য প্রকৃতিকেও নিয়ন্ত্রণ করেন।

বন্ধুগণ!
তারা কত বছর সেখানে ছিল? কুরআন স্পষ্ট করে বলছে:
وَلَبِثُوا فِي كَهْفِهِمْ ثَلَاثَ مِائَةٍ سِنِينَ وَازْدَادُوا تِسْعًا
(সূরা কাহাফ ১৮:২৫)
অর্থ: “তারা তাদের গুহায় অবস্থান করেছিল তিনশত বছর এবং এর সাথে আরও নয় যোগ হয়েছিল।”

বন্ধুগণ! তিনশত নয় বছর— মানে ৩০৯ বছর! এটা কেবল ঘুম নয়, এটা ছিল আল্লাহর এক বিরাট নিদর্শন। ইতিহাসের বুকে তিন শতকেরও বেশি সময় পেরিয়ে যায়, রাজা বদলায়, সভ্যতা পাল্টে যায়, কিন্তু কিছু যুবক নিদ্রিত থাকে এক অদ্ভুত অলৌকিক ঘটনায়। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষকে দেখাতে চেয়েছিলেন— জীবন-মৃত্যু, জাগরণ-নিদ্রা সবই তাঁর হাতে।

বন্ধুগণ!
কুরআন বলছে—
অর্থ: “এভাবেই আমি লোকদের তাদের বিষয়ে অবহিত করলাম, যাতে তারা জেনে নেয় যে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য এবং কিয়ামতের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।”

অতএব, আসহাবে কাহাফের কাহিনী শুধু একটি রূপকথা নয়। এটা কিয়ামতের বাস্তবতার প্রমাণ। মানুষ যেমন মনে করে ঘুম থেকে জেগে উঠলেই নতুন দিন শুরু হয়, তেমনি মৃত্যুর পর আল্লাহর কাছে জেগে উঠলেই শুরু হবে নতুন জীবন— আখেরাত।

বন্ধুগণ!
তাদের জাগরণের পর কী ঘটেছিল? কুরআন বলে:
وَكَذَلِكَ بَعَثْنَاهُمْ لِيَتَسَاءَلُوا بَيْنَهُمْ ۚ قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ كَمْ لَبِثْتُمْ ۖ قَالُوا لَبِثْنَا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ
(সূরা কাহাফ ১৮:১৯)
অর্থ: “আর এভাবেই আমি তাদের জাগালাম, যাতে তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরকে প্রশ্ন করে। তাদের একজন বলল: তোমরা কতক্ষণ অবস্থান করেছিলে? তারা বলল: আমরা ছিলাম একদিন কিংবা এক দিনের কিছু অংশ।”

বন্ধুগণ! লক্ষ্য করুন— তারা তিনশ বছর ঘুমিয়ে থেকেও মনে করেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টা কেটেছে! এটাই মৃত্যু আর পুনরুত্থানের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কবরের ঘুম যত দীর্ঘই হোক, জেগে উঠলে মনে হবে সামান্য সময় কেটেছে।

বন্ধুগণ!
তাদের মধ্যে একজনকে খাবার কিনতে পাঠানো হলো। কুরআন বলছে:
فَابْعَثُوا أَحَدَكُم بِوَرِقِكُمْ هَٰذِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلْيَنظُرْ أَيُّهَا أَزْكَىٰ طَعَامًا فَلْيَأْتِكُم بِرِزْقٍ مِّنْهُ
(সূরা কাহাফ ১৮:১৯)
অর্থ: “তোমরা তোমাদের একজনকে এই রূপার মুদ্রা দিয়ে শহরে পাঠাও এবং দেখো, সবচেয়ে বিশুদ্ধ খাদ্য কোনটি, আর তা থেকে তোমাদের জন্য রিজিক নিয়ে আসুক।”

কিন্তু যখন সে শহরে প্রবেশ করল, তখন চারশ বছরের পুরনো মুদ্রা দেখে মানুষ বিস্মিত হলো। তারা বুঝতে পারল, এরা তো আসলেই অলৌকিক মানুষ। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষকে আরেকটি শিক্ষা দিলেন— সময়, সমাজ, রাজনীতি সব বদলাতে পারে, কিন্তু সত্যিকার ঈমানের মানুষ ইতিহাসের স্রোতেও বেঁচে থাকে।

বন্ধুগণ!
কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী, এরপর আল্লাহ তাদের ব্যাপারকে মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিলেন। অনেকে তাদের গুহাকে মসজিদ বানাতে চাইল। কুরআন এ নিয়ে শুধু উল্লেখ করেছে, কিন্তু প্রশংসা করেনি। এর মানে হলো— আল্লাহর উদ্দেশ্য ছিল শুধু তাদের কাহিনী দ্বারা মানুষকে শিক্ষা দেওয়া, কবরপূজা বা গুহাপূজা প্রচলিত করা নয়।

বন্ধুগণ!
এখান থেকে আমাদের জন্য শিক্ষাগুলো হলো:

১. সাহসের শিক্ষা: যুবকরা সংখ্যায় কম হলেও সত্যের পথে দৃঢ় ছিল।
২. আল্লাহর সুরক্ষা: তারা গুহায় আশ্রয় নিল, কিন্তু রক্ষা করলেন আল্লাহ।
৩. মৃত্যুর শিক্ষা: দীর্ঘ নিদ্রা আমাদের মনে করিয়ে দেয় মৃত্যুর পর পুনরুত্থান কত সহজ।
৪. ঐক্যের শিক্ষা: তারা দলবদ্ধভাবে ঈমানের ঘোষণা দিয়েছিল, তাই আল্লাহ তাদের স্মরণীয় করে রেখেছেন।
৫. অতিরিক্ত ধর্মীয় চর্চার সমালোচনা: কবরকে মসজিদ বানানোর চিন্তা কুরআন নীরবে এড়িয়ে গেছে। এটা সতর্কবার্তা যে, প্রকৃত শিক্ষা হলো ঈমান, কোনো স্থাপনা পূজা নয়।

বন্ধুগণ!
আজকের পৃথিবীতে আমরা যদি আসহাবে কাহাফের মতো হতে চাই, তবে আমাদেরও মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। প্রচলিত কুসংস্কার, মিথ্যা ধর্ম, অন্ধ দলাদলি— সব কিছুর বিরুদ্ধে দৃঢ় ঘোষণা দিতে হবে: “আমরা আমাদের রব্ব ছাড়া কারো ইবাদত করব না।”

শেষে বলি বন্ধুগণ!
আসহাবে কাহাফের গল্প আমাদের শেখায়— ঈমান কেবল মুখের কথা নয়, এটা কর্ম, সাহস আর ত্যাগের নাম। যদি সত্য আঁকড়ে ধরতে গিয়ে পৃথিবী আমাদের গুহায় ঠেলে দেয়, তবে ভয় নেই। কারণ, গুহায়ও আল্লাহ আছেন, তিনি আমাদের পাহারা দেন, তিনি সময়কে আমাদের পক্ষে কাজে লাগান, এবং তিনি আমাদের নাম অমর করে রাখেন।

Post a Comment

0 Comments