আব্বাসীয় খেলাফত, হাদিসের হাতিয়ার
লিখকঃ- মাহাতাব আকন্দ
বাগদাদের আকাশে একসময় এক অদ্ভুত অন্ধকার নেমে এসেছিল। মসজিদের মিনার থেকে আজান উঠত, কুরআন তিলাওয়াত হতো, কিন্তু কুরআনের আলো যেন ধীরে ধীরে ঢেকে যাওয়া এক সূর্যের মতো নিভে যাচ্ছিল। খলিফাদের রাজপ্রাসাদ ঝলমল করছিল, অথচ মানুষের আকলকে বেঁধে ফেলা হচ্ছিল শিকলে। কেন? কারণ ক্ষমতালোভী আব্বাসীয় বাদশাহরা বুঝেছিল—যদি মানুষ কুরআনের আলোকে সরাসরি ধরে রাখে, তবে তারা প্রশ্ন করবে। তারা বলবে, কেন বৈষম্য? কেন শোষণ? কেন জুলুম? তাই প্রয়োজন হলো এমন এক ধর্ম যেখানে প্রশ্ন নেই, আকল নেই—শুধু অন্ধ আনুগত্য।
আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন:
مَّا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِن شَيْءٍ
অর্থ: “আমি কিতাবে কিছুই বাদ রাখিনি।” (সূরা আন’আম ৬:৩৮)
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ
অর্থ: “আমি তোমার ওপর কিতাব নাজিল করেছি, যাতে সবকিছুর স্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে।” (সূরা নাহল ১৬:৮৯)
তাহলে বলো—যখন আল্লাহ নিজেই বলছেন কুরআন পূর্ণাঙ্গ, তখন আর কার দরকার? কিন্তু খলিফারা ভেবেছিল—যদি কুরআনই যথেষ্ট হয়, তবে শাসককে প্রশ্ন করা থেকে জনগণকে আটকানো যাবে না। তাই তারা এমন একটি হাতিয়ার বানাল—হাদিস।
খলিফা আল-মুতাওয়াক্কিল ইতিহাসে বিখ্যাত—কিন্তু কীসের জন্য? আল্লাহর বাণীকে উঁচু করার জন্য নয়, বরং আক্লচর্চাকারীদের দমন করার জন্য। মুতাজিলা চিন্তাবিদরা তখন জিজ্ঞেস করছিল—“খলিফার কাজ কি কুরআনের আলোকে ন্যায় করা, নাকি স্বেচ্ছাচারিতা?” এই প্রশ্নই তার জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বুঝলেন—কুরআনের সামনে দাঁড়ালে রাজসিংহাসন কেঁপে উঠবে।
তখন দরবারে এলেন একদল আলেম ও মুহাদ্দিস। তারা ফিসফিস করে বলল—“হুজুর, চিন্তা করবেন না। কুরআন মানুষকে ভাবতে শেখায়, কিন্তু হাদিস মানুষের প্রশ্ন বন্ধ করে দেয়। যদি আমরা হাদিসকে কুরআনের উপরে তুলে ধরি, তবে জনগণ প্রশ্ন করবে না। তারা অন্ধভাবে মানবে।”
খলিফার মুখে তখন হাসি ফুটে উঠল। এটাই তো তার দরকার ছিল!
সেদিন থেকেই শুরু হলো হাদিসের স্রোত। হাজার হাজার বর্ণনা দূর-দূরান্ত থেকে ঢুকে পড়ল বাগদাদের গ্রন্থাগারে। প্রত্যেকেই বলছে—“আমি নবীর মুখ থেকে শুনেছি।” অথচ নবীর মৃত্যুর দেড়-দুই শত বছর পরে সেই “শোনা” শুরু হলো!
👉 আল্লাহ তো কুরআনে বলেছেন:
فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُؤْمِنُونَ
অর্থ: “এ কুরআনের পর আর কোন কথায় তারা ঈমান আনবে?” (সূরা আরাফ ৭:১৮৫)
কিন্তু মানুষ কুরআনের বদলে নতুন নতুন “হাদিস” কিতাবের পেছনে ছুটল।
মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারী তখন উঠলেন মঞ্চে। তিনি দাবি করলেন—তিনি ছয় লক্ষ হাদিস শুনেছেন! আর সেখান থেকে তিনি “সাহিহ” বেছে নিয়েছেন মাত্র কয়েক হাজার। কিন্তু প্রশ্ন হলো—ছয় লক্ষ হাদিস কোথা থেকে এলো? নবী কি এত বেশি বলেছিলেন? নাকি মানুষ বানিয়েছে?
আর খেয়াল করো—এই সময়েই আব্বাসীয় সাম্রাজ্য বুখারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দিল। তার সংকলন ধীরে ধীরে হয়ে উঠল “রাষ্ট্রীয় ইসলাম।” কুরআন তখনো মসজিদের তাকেই রাখা হতো, কিন্তু মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো—“কুরআন বুঝতে হলে হাদিস লাগবে।”
এই হাদিসের ভেতরেই ঢুকিয়ে দেওয়া হলো রাজনীতি।
• “শাসক যতই জুলুম করুক, বিদ্রোহ করো না।”
• “তোমার পিঠে কোড়াল মারলেও মানতে হবে।”
• “তোমার সম্পদ কেড়ে নিলেও শোনো ও মানো।”
এসব কিসের ইসলাম? আল্লাহর কিতাবে তো বারবার এসেছে—
إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّواْ الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُواْ بِالْعَدْلِ
অর্থ: “আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন আমানত তার হকদারের হাতে পৌঁছে দিতে এবং মানুষের মাঝে বিচার করলে ন্যায়বিচার করতে।” (সূরা নিসা ৪:৫৮)
কিন্তু খলিফারা চাইলেন—ন্যায় নয়, বরং আনুগত্য। তাই হাদিসের নাম করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হলো।
এভাবেই গড়ে উঠল এক নতুন ধর্ম—“হাদিসের ইসলাম।”
এক ইসলাম, যেখানে শাসককে প্রশ্ন করা বিদআত।
এক ইসলাম, যেখানে কুরআনের আয়াতকে চাপা দিয়ে “ইমাম বলেছেন, ফকীহ বলেছেন” মুখ্য হয়ে উঠল।
এক ইসলাম, যেখানে মানুষের আকলকে বন্ধ করে রাখা হলো।
এখানে কুরআন ছিল, কিন্তু কুরআনের আলো ঢেকে দিল মানুষের বানানো পাহাড়।
ইতিহাসবিদরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন—
• ইগনাজ গোল্ডজিহের বলেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে হাদিস রচিত হয়েছে।
• জোসেফ শাখত বলেছেন, ফিকহ ও হাদিস আসলে আব্বাসীয় আমলেই গড়ে ওঠে।
• মুসলিম ইতিহাসবিদ ইবনে কুতাইবাও লিখেছেন, হাদিস জাল করার মহামারী হয়েছিল।
তাহলে আমরা কি অন্ধ হয়ে থাকব?
বাগদাদের এক তরুণ ছাত্র একদিন শিক্ষকের কাছে বলল—
“হুজুর, আল্লাহ তো কুরআনে বলেছেন—‘আমি কিতাবকে পূর্ণ করেছি’। তবে কেন আমরা মানুষের বানানো বাণীর পেছনে ছুটি?”
শিক্ষক মুখ গম্ভীর করে বলল—“চুপ! এসব প্রশ্ন করা বিদআত। খেলাফতের বিরুদ্ধে কথা বলা হারাম।”
ছাত্রটি বুঝল—আলোকে আড়াল করার ষড়যন্ত্র সফল হচ্ছে।
আজ আমাদেরও সেই প্রশ্ন করতে হবে। আমরা কি আল্লাহর কিতাব যথেষ্ট মনে করি না? আমরা কি সত্যিই বিশ্বাস করি—মানুষের বানী আল্লাহর বাণীর সমান? যদি তাই হয়, তবে আমাদের ঈমান কোথায় দাঁড়ায়?
কুরআন তো সোজাসাপটা বলছে—
اتَّبِعُوا مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء
অর্থ: “তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে, সেটিই অনুসরণ করো। তার বাইরে অন্য অনুসারীদের অনুসরণ করো না।” (সূরা আ’রাফ ৭:৩)
আব্বাসীয় খেলাফতের সেই রাতের অন্ধকার আজও টিকে আছে। বুখারীর সংকলন আজো রাষ্ট্রীয় ইসলাম, আর কুরআনের কণ্ঠকে আমরা অল্প অল্প করে চাপা দিয়েছি। আমরা নাম দিয়েছি—“সাহিহ হাদিস।” অথচ আল্লাহ বলেছেন—“لا ريب فيه” — কুরআনেই কোনো সন্দেহ নেই।
তাহলে হাদিস কেন “সাহিহ” বা “দাঈফ” হবে? কুরআন কি যথেষ্ট নয়?
আজ আমি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করছি—
আব্বাসীয় খেলাফতের ক্ষমতার লোভ কুরআনের আলোকে চাপা দিয়েছিল।
তাদের হাতে জন্ম নিয়েছিল নতুন এক ধর্ম—হাদিসের ইসলাম।
এটা সেই ইসলাম নয়, যা নবী মুহাম্মদ এনেছিলেন।
নবী এনেছিলেন কুরআন, ন্যায়, তওহীদ ও তাকওয়া।
কিন্তু আব্বাসীয়রা বানালেন অন্ধ আনুগত্যের ধর্ম।
এবং আজ আমাদের বিদ্রোহ করতে হবে। বিদ্রোহ কেবল তলোয়ার দিয়ে নয়, বরং সত্যের আওয়াজ দিয়ে।
প্রথমে ভাবো—আল্লাহ কুরআনে কতবার বললেন তাওহীদ নিয়ে, এক আল্লাহর ইবাদত নিয়ে, ন্যায়বিচার নিয়ে। কিন্তু হাদিসের ইসলাম বানাল ভিন্ন এক চিত্র। সেখানে অগণিত আচার-অনুষ্ঠান, হাজার রকম বিধান, আর অসংখ্য ফতোয়ার জঞ্জাল।
কুরআন সরল—“وأقيموا الصلاة وآتوا الزكاة” — “সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও।”
কিন্তু হাদিসের ইসলাম বানাল এমন এক নামাজ যেখানে দাঁড়াবি না বসবি, হাত বুকে না নাভিতে, রুকুতে কত আয়াত পড়বি—এ নিয়েই দলাদলি।
এভাবে মূল উদ্দেশ্য চাপা পড়ে গেল।
আব্বাসীয়রা একসময় দেখল—মানুষ কুরআনভিত্তিক চিন্তাকে আঁকড়ে ধরছে। তারা বলছে—আল্লাহ কুরআনকে পূর্ণ করেছেন। তখন রাজশক্তি ভয় পেল। তাদের ভয়ে বিদ্রোহ দেখা দেবে না তো?
তখন হাদিস দিয়ে বানানো হলো নতুন মতবাদ:
• “যে খলিফার আনুগত্য করবে না, সে কাফের।”
• “যে আমীরের বিরোধিতা করবে, তার হত্যা জায়েজ।”
এসব কথাই হাদিসে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। ফলে জনগণ চুপ হয়ে গেল। কারণ তারা ভেবেছিল—এটা নাকি নবীর কথা!
মনে রেখো—আল্লাহ কখনো বলেননি “শাসক যত জুলুমই করুক, মানতে হবে।” বরং আল্লাহ কুরআনে বললেন:
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
অর্থ: “তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, যতক্ষণ না ফিতনা শেষ হয় এবং দীন পুরোপুরি আল্লাহর জন্য হয়।” (সূরা আনফাল ৮:৩৯)
অর্থাৎ শাসকের জুলুমকে সমর্থন করা নয়, বরং ফিতনার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই ঈমানের দাবি। কিন্তু আব্বাসীয়রা কুরআন ঢেকে রাখল, আর হাদিসের নামে আনুগত্য চাপিয়ে দিল।
এখন আসি আরও ভয়াবহ এক ষড়যন্ত্রে—নবীর নামে মিথ্যা বাণী চালু করা।
যখন রাজনীতির প্রয়োজনে কোনো মতামত চাই, তখনই বানানো হলো নতুন হাদিস।
উদাহরণ:
• “আমার উম্মাহ ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, সবগুলো জাহান্নামী, শুধু একটি ছাড়া।”
এই কথার ফল কী হলো?
👉 মুসলিম সমাজে শুরু হলো দলাদলি, মাজহাব বিভাজন, এবং একে অপরকে কাফের বলা।
কুরআন কি দলাদলি চায়? না! বরং আল্লাহ বলেছেন—
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ
অর্থ: “যারা তাদের দীনকে বিভক্ত করেছে এবং দলে দলে হয়েছে, তোমার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।” (সূরা আন’আম ৬:১৫৯)
তবুও হাদিসের ইসলাম মুসলিমদেরকে ভাগ করে দিল।
কেবল বিভাজন নয়, বরং কুরআনের মূলনীতির সাথেও সংঘাত সৃষ্টি করা হলো।
কুরআন বলছে—“لا إكراه في الدين” — “দীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।” (সূরা বাকারা ২:২৫৬)
কিন্তু হাদিসের নামে চালু হলো—“যে ধর্ম পরিবর্তন করবে তাকে হত্যা করো।”
কুরআন বলছে—“وَأَمْرُهُمْ شُورَى بَيْنَهُمْ” — “তাদের কাজ পরামর্শের ভিত্তিতে।” (সূরা শুরা ৪২:৩৮)
কিন্তু হাদিসে ঢুকল—“রাজা যতই অত্যাচার করুক, বিদ্রোহ হারাম।”
এইভাবে ইসলামের মূল আলো—তাওহীদ, ন্যায়, তাকওয়া—সব চাপা পড়ে গেল। মানুষ বুঝতে শুরু করল ইসলাম মানেই অসংখ্য ফিকহি বিধান, একেকটা দল, একেকটা ইমামের অনুসরণ।
আব্বাসীয়দের সেই ষড়যন্ত্র আজও টিকে আছে।
আজও মানুষ প্রশ্ন করলে বলা হয়—“চুপ করো, এটা বিদআত।”
আজও কুরআনকে একা যথেষ্ট মানতে চাইলে বলা হয়—“তুমি কুরআনিস্ট, কাফের।”
কিন্তু সত্য চাপা থাকে না। আজও কিছু মানুষ কুরআনের আলো তুলে ধরে বলছে—
“আমরা শুধু আল্লাহর কিতাবকে যথেষ্ট মনে করি।”
তাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রচলিত আলেম সমাজ। তারা বলে—“কুরআন একা যথেষ্ট নয়।”
কিন্তু আল্লাহর বাণী কি তাদের ভয় পায়? না! কুরআন এখনো দাঁড়িয়ে আছে, ঘোষণা দিচ্ছে—
وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ • لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ
অর্থ: “এ কিতাব মহিমান্বিত, মিথ্যা তার কাছে আসতে পারে না, না সামনে থেকে না পিছন থেকে।” (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৪১-৪২)
আমাদের মনে রাখতে হবে—আব্বাসীয়রা কুরআন ধ্বংস করতে পারেনি। তারা কেবল এর আলোকে আড়ালে রেখেছিল। কিন্তু আজ আমাদের দায়িত্ব হলো সেই আলো আবার তুলে ধরা।
আমাদের বলতে হবে—
• ইসলাম কোনো ফকীহের ধর্ম নয়।
• ইসলাম কোনো হাদিসবিদের ধর্ম নয়।
• ইসলাম কোনো খলিফার বানানো ধর্ম নয়।
ইসলাম কেবল আল্লাহর কিতাব—কুরআনের ধর্ম।
আমরা যদি সত্যিই নবীর প্রতি ভালোবাসা দাবি করি, তবে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই সত্যের কাছে যা তিনি এনেছিলেন। নবী তো কোনো হাদিসের কিতাব লিখে যাননি। নবী রেখে গেছেন একটিমাত্র কিতাব—কুরআন।
নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন—
“إني تارك فيكم ما إن تمسكتم به لن تضلوا بعدي: كتاب الله”
অর্থ: “আমি তোমাদের মধ্যে রেখে যাচ্ছি এমন এক জিনিস, তা আঁকড়ে ধরলে কখনো ভ্রান্ত হবে না—আল্লাহর কিতাব।”
(মুয়াত্তা মালিক, কিতাবুল কদর)
কিন্তু আব্বাসীয়রা এই বাণীকেই চাপা দিয়ে মানুষের সামনে হাজির করল অন্য এক ইসলাম।
আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে।
একদিকে আল্লাহর কুরআন আমাদের ডেকে বলছে—“এসো, আমি পূর্ণ।”
অন্যদিকে হাজার বছরের গড়ে তোলা হাদিসের পাহাড় আমাদের এমন চাপা দিয়ে রেখেছে তা থেকে আমরা বের হতে পারছিনা।
আমরা কি আবার বাগদাদের সেই ছাত্রের মতো হবো, যে চুপ করে গেল?
না! আমরা বলব—কুরআনই যথেষ্ট।
0 Comments