Subscribe Us

মাজহাবের শিকল ভেঙে দাও"

 


মাজহাবের শিকল ভেঙে দাও"
লিখকঃ- মাহাতাব আকন্দ
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، وَسَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَسَلَامٌ عَلَى مُحَمَّدٍ الَّذِي جَاءَ بِالْقُرْآنِ مُهَيْمِنًا

"হে আমার প্রভু! আমি আশ্রয় চাই তোমার কাছে শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে, আর আশ্রয় চাই হে প্রভু! যেন তারা আমার কাছে না আসে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিজগতের প্রতিপালক। শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর, যে হেদায়াতের অনুসারী হলো। আর শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মদের উপর, যিনি কুরআন নিয়ে এলেন, যা সকল কিতাবের উপর প্রমাণস্বরূপ ও নিয়ন্ত্রক।"

বন্ধুগণ!
আজ আমি কথা বলবো এমন এক আগুনের বিষয়ে—যা নেভানো হয়নি চৌদ্দশ বছরেও!
যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, বিভাজনের আগুন, ফিরকার আগুন, মাজহাবের আগুন।
আমরা যারা নিজেদেরকে “উম্মতে মুহাম্মদী” বলে গর্ব করি—আমরাই সেই উম্মত যারা কেটে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
আমরা এক কোরআন পেয়েছি, এক রব্ব পেয়েছি, রাসূল পেয়েছি—
কিন্তু দ্বীনকে বানিয়ে ফেলেছি টুকরো টুকরো!
আমাদের কণ্ঠে ভেসে বেড়ায় দলাদলির স্লোগান,
আমাদের হাতে দুলে উঠে ভিন্ন ভিন্ন পতাকা,
আমাদের জিহ্বায় জপ করি ইমামদের নাম, কিন্তু ভুলে যাই আল্লাহর কিতাব!

বন্ধুগণ!
মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِيْعًا وَّلَا تَفَرَّقُوْا (৩:১০৩)
“আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করো, আর বিভক্ত হয়ো না।”

এখানে কোনো "হানাফী রজ্জু", "শাফেয়ী রজ্জু", "মালিকী রজ্জু" বা "হাম্বলী রজ্জু" বলা হয়নি!
এখানে কেবল আল্লাহর রজ্জু বলা হয়েছে।
আর সেই রজ্জু হলো কুরআন
কিন্তু আমরা কী করেছি?
আমরা আল্লাহর রজ্জু ছেড়ে মানুষের বানানো দড়ি ধরেছি।
আমরা কুরআনের ঐক্য ছেড়ে মাজহাবের খুঁটিতে নিজেদের বেঁধে ফেলেছি।

বন্ধুগণ!
আল্লাহ আবার বলেছেন:
وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ تَفَرَّقُوْا وَاخْتَلَفُوْا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْبَيِّنٰتُ ۙ وَاُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ (৩:১০৫)
“এবং তাদের মতো হয়ো না—যারা স্পষ্ট প্রমাণ আসার পরও বিভক্ত হয়েছে ও মতভেদে লিপ্ত হয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”

শুনে রাখো!
এটা কোনো সাধারণ সতর্কতা নয়—এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে চরম হুঁশিয়ারি!
যে উম্মত বিভক্ত হয়, ফিরকায় ভাগ হয়—তার জন্য আছে আজাবুন আজীম—মহা শাস্তি!

বন্ধুগণ!
এখন প্রশ্ন হলো—আমরা কি সেই শাস্তির পথে হাঁটছি না?
আজকে আমরা মুসলিম বলে গর্ব করি, অথচ আমাদের পরিচয় হয় “আমি হানাফী”, “আমি শাফেয়ী”, “আমি সালাফী”, “আমি সুন্নী”, “আমি শিয়া”—
আমাদের পরিচয় আজ কুরআন নয়, আল্লাহর দ্বীন নয়—বরং মাজহাবের তকমা!
আমরা কুরআনের দিক থেকে পাল্টে গেছি, মানুষের লেখা কিতাবের সাথে মিশে গেছি।

বন্ধুগণ!
তাহলে মাজহাব এলো কোথা থেকে?
কেন এ বিভাজন জন্ম নিলো?
ইসলামের প্রথম যুগে—রাসূলের মৃত্যুর পরে—
উমাইয়া আর আব্বাসীয় খিলাফতের রাজনীতির আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তাদের দরকার পড়লো ধর্মের দালালদের।
তারা ইমামদের নাম ব্যবহার করলো, তাদের মতামতকে আইনে পরিণত করলো, আর বললো—
“এটাই হলো শরীয়াহ!”
ফলে দ্বীন ইসলাম পরিণত হলো রাজকীয় শরীয়াহ আইনে।
মানুষ কুরআন ছেড়ে, ইমামদের ফতোয়ার বই খুলতে শুরু করলো।
একজন বললো—“ইমাম আবু হানিফা এভাবে বলেছেন।”
অন্যজন বললো—“না, ইমাম শাফেয়ী ভিন্ন বলেছেন।”
আরেকজন বললো—“ইমাম মালিকের মতে অন্য নিয়ম।”
এভাবেই দ্বীন ভেঙে গেল চার ভাগে!

বন্ধুগণ!
কুরআন কি কখনো বলেছে—
“তোমরা হানাফী হও, শাফেয়ী হও, হাম্বলী হও, মালিকী হও”?
না!
রাসূল কি কখনো বলেছেন—
“আমার পরে চার ইমামের ফিকহ ধরে দ্বীন পালন করবে”?
না!
কুরআন আমাদের শিখিয়েছে—
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ (১২:৪০)
“হুকুম তো একমাত্র আল্লাহর।”

কিন্তু আমরা কী করেছি?
আমরা আল্লাহর হুকুম ছেড়ে মানুষের মতকে আইন বানিয়েছি।
আমরা কুরআনের স্পষ্ট বিধান ছেড়ে ফতোয়ার গোলকধাঁধায় ঘুরে বেড়াচ্ছি।

বন্ধুগণ!
আজকে বাস্তবতা দেখো।
এক দেশে দাঁড়িয়ে একজন বলে—
“হানাফী মতে হাত নিচে বাঁধতে হবে।”
অন্যজন বলে—
“না, শাফেয়ী মতে বুকে বাঁধতে হবে।”
কেউ বলে—“রফে-ইয়াদাইন করতে হবে।”
আবার কেউ বলে—“না, করা যাবে না।”
এরা সবাই এক কোরআন পড়ে, এক কিবলামুখী হয়, তবুও একে অন্যকে ভুল বলে।
এ কেমন দ্বীন?
এ কেমন ঐক্য?
এটাই সেই বিভাজন যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন।

বন্ধুগণ!
মাজহাব মানে আসলে কী?
মাজহাব মানে—“কারো মতামতের পথ।”
কিন্তু আমরা সেটা বানিয়ে ফেলেছি “আল্লাহর দ্বীন”!
আজ একজন মুসলিম জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিখে যায়—
“তুমি হানাফী, তোমার নামাজ এমন হবে, তোমার রোজা এমন হবে।”
কিন্তু তাকে একবারও শেখানো হয় না—
“তুমি কুরআনের অনুসারী, আল্লাহর বান্দা।”
ফলাফল?
আমরা আল্লাহর দেওয়া এক দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছি।

বন্ধুগণ!
আল্লাহ বলেছেন:
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا لَسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ (৬:১৫৯)
“যারা তাদের দ্বীনকে বিভক্ত করেছে ও বিভিন্ন দলে ভাগ হয়েছে—তাদের সাথে রাসূলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

শুনে রাখো!
আজকে যারা নিজেদেরকে হানাফী, শাফেয়ী, মালিকী, হাম্বলী, শিয়া, সুন্নী, সালাফী, আহলে হাদীস ইত্যাদি বলে পরিচয় দেয়—
আল্লাহর আয়াত তাদের উদ্দেশ্যে বজ্রপাতের মতো ধ্বনি তোলে—
“তাদের সাথে রাসূলের কোনো সম্পর্ক নেই!”

বন্ধুগণ!
এবার বলো—তুমি কার অনুসারী হতে চাও?
রাসূলের অনুসারী? নাকি ইমামদের অনুসারী?
কুরআনের অনুসারী? নাকি ফতোয়ার অনুসারী?
মুক্তির পথ একটাই—
কুরআনে ফেরা!
সব ভ্রান্ত তকমা ছেড়ে বলা—
“আমি মুসলিম, আমি আল্লাহর বান্দা।”

বন্ধুগণ!
এই দ্বীনকে বিভক্ত করার প্রথম বড় ফল হলো—ঐক্যের মৃত্যু!
একসময়ের সাহসী উম্মত, যারা এক পতাকার নিচে যুদ্ধ করেছে, যারা এক কোরআনের আহ্বানে কাঁপিয়ে দিয়েছে দুনিয়া—
আজ তারা নামাজ পড়তে গিয়ে একে অন্যকে ভুল প্রমাণ করে।
আজ তারা ঈদ করার দিন নিয়েও লড়াই করে।
আজ তারা কাবার সামনে দাঁড়িয়ে হলেও আলাদা আলাদা কাতারে দাঁড়ায়।
এই দৃশ্য কি তোমাদের হৃদয়কে পোড়ায় না?

বন্ধুগণ!
দ্বিতীয় ফল হলো—রাজনীতির দাসত্ব!
মাজহাবের শিকড় যদি খুঁজো, তবে দেখবে সেগুলো মিশে আছে রাজনীতির মাটিতে।
উমাইয়া শাসকেরা আলাদা আলাদা ইমামদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে,
আব্বাসীরা করেছে নিজেদের সুবিধার ব্যাবসা।
কেউ ইমাম আবু হানিফার নাম ব্যবহার করেছে, কেউ শাফেয়ীর।
কেউ বলেছে, “এটাই সঠিক শরীয়াহ।”
আসলে এগুলো ছিল শাসকদের অস্ত্র—
মানুষকে কুরআন থেকে দূরে সরিয়ে ফেলার অস্ত্র।

বন্ধুগণ!
তৃতীয় ভয়াবহতা হলো—অজ্ঞতার চিরস্থায়ী শৃঙ্খল!
আজকে একজন মুসলিম যদি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হানাফী পরিবারে বেড়ে ওঠে—
সে কুরআন পড়লেও হানাফী ফিকহের চশমা চোখে দিয়ে পড়ে।
সে ভাবে—“আমার ইমাম যা বলেছেন, সেটাই ইসলাম।”
অন্যদিকে শাফেয়ী পরিবারে জন্ম নেয়া শিশু তাই মানে।
কিন্তু তারা কেউই একবারও ভাবে না—
“আল্লাহ কী বলেছেন? কুরআন কী বলছে?”
ফলে তারা আসল দ্বীন থেকে দূরে সরে গেছে।

বন্ধুগণ!
এবার কুরআনের আয়াত শোনো—
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ (১২:৪০)
“হুকুম তো একমাত্র আল্লাহর।”

কিন্তু আমরা কাকে মানলাম?
আমরা আল্লাহর হুকুম বাদ দিয়ে ইমামদের হুকুম মানলাম।
আমরা বললাম—“আমাদের ইমাম ভুল করতে পারেন না।”
কিন্তু আল্লাহর কিতাবে আছে—
وَإِن تُطِيعُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ (৬:১২১)
“যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হয়ে যাবে।”

তাহলে বলো বন্ধুগণ!
মানুষের বানানো মাজহাব মানা কি আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা নয়?

বন্ধুগণ!
শোনো আরেকটি ভয়াবহ বাস্তবতা—
মাজহাবীরা একে অন্যকে কাফির বলে।
শিয়া বলে—“সুন্নীরা নাফরমান।”
সুন্নী বলে—“শিয়ারা ভ্রষ্ট।”
হানাফী বলে—“শাফেয়ী ভুল।”
শাফেয়ী বলে—“হানাফী পথভ্রষ্ট।”
তাদের জিহ্বা দিয়ে ঝড়ে পড়ে ঘৃণা,
তাদের কলম দিয়ে ঝরে পড়ে ফতোয়া,
কিন্তু তাদের হৃদয় থেকে হারিয়ে গেছে কুরআনের আলো!

বন্ধুগণ!
একবার কল্পনা করো—
একই মসজিদে, একসাথে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা
শুধু হাত বাঁধার জায়গা, শুধু দোয়ার শব্দ, শুধু আঙ্গুল তোলার ধরন নিয়ে
এককে অন্যকে ভুল প্রমাণ করে।
এ কেমন উম্মত?
এ কেমন দ্বীন?
যখন আল্লাহ বলেছেন—
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ (২:৪৩)
“সালাত কায়েম করো।”
তিনি কি বলেছেন—
“সালাত কায়েম করো, তবে চার মাজহাবের চার রকম নিয়মে”?

বন্ধুগণ!
শোনো!
মাজহাব মানে হলো মানব রচিত নিয়মনীতি
কুরআন মানে হলো আল্লাহর বিধান
তাহলে কার বিধান মানা উচিত?
মানুষের? নাকি আল্লাহর?
কুরআন কি কম ছিল?
আল্লাহর কিতাব কি অসম্পূর্ণ ছিল?
না!
বরং আল্লাহ নিজেই বলেছেন—
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ (৫:৩)
“আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম।”

তাহলে আমরা কেন বলছি—“না, দ্বীনকে বুঝতে আমাদের ইমামদের দরকার”?

বন্ধুগণ!
এখন বলো—
আমাদের মুক্তি কোথায়?
আমাদের ঐক্য কোথায়?
আমাদের শক্তি কোথায়?
উত্তর একটাই—
ফিরে আসো কুরআনে!
মাজহাবের শিকল ছিঁড়ে ফেলো।
দলাদলির পতাকা নামিয়ে দাও।
ইমামদের নামের বদলে বলো—
“আমার ইমাম হলো কুরআন, আমার নেতা হলো আল্লাহ।”

বন্ধুগণ!

আমি জানি, আজকের সমাজে এই ডাক দেওয়া মানে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া।
কারণ মাজহাবের পাহারাদাররা আছে—
তাদের আছে মসজিদের মাইকে দাপট,
তাদের আছে মাদরাসার দেওয়ালে পোস্টার,
তাদের আছে ফতোয়ার হাতিয়ার।
তারা বলবে—“এই ব্যক্তি গোমরাহ।”
তারা বলবে—“এই ব্যক্তি কুরআনিস্ট, এরা বিভ্রান্ত।”
কিন্তু শোনো!
যদি কুরআন মানা বিভ্রান্তি হয়,
তাহলে সত্যিই আমরা বিভ্রান্ত হতে রাজি—
কিন্তু মানুষের ফতোয়ার দাস হবো না!

বন্ধুগণ!
তোমরা কি জানো?
রাসূলের নামে সবচেয়ে বড় মিথ্যা রচনা হয়েছে এই মাজহাবের হাত ধরে।
কারণ ইমামদের মতকে শক্ত করতে তারা বানিয়েছে হাজার হাজার হাদিস।
কেউ বলেছে—“রাসূল বলেছেন, এভাবে নামাজ পড়তে হবে।”
কেউ বলেছে—“রাসূল বলেছেন, এভাবে নয়, অন্যভাবে করতে হবে।”
ফলে আজকের মুসলিমরা বিভ্রান্তির সাগরে ডুবে আছে।
আসল সত্য কোথায়?
আসল সত্য কেবল কুরআনে।

বন্ধুগণ!
মনে রেখো—
যেদিন আমরা কুরআনের দিকে ফিরবো,
সেদিনই মুসলিম উম্মাহ আবার এক হবে।
সেদিন আর কোনো হানাফী থাকবে না, শাফেয়ী থাকবে না, সুন্নী-শিয়া থাকবে না।
সেদিন থাকবে শুধু এক পরিচয়—
আমি মুসলিম!
সেদিন আমরা আবার দাঁড়াবো আল্লাহর পতাকার নিচে।
সেদিন আমাদের ঐক্যের শক্তি আবার কাঁপিয়ে দেবে দুনিয়া।

বন্ধুগণ!
শেষ করার আগে কুরআনের ডাক শোনো—
إِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ (২১:৯২)
“নিশ্চয়ই এ তোমাদের উম্মত—এক উম্মত, আর আমি তোমাদের প্রভু। কাজেই শুধু আমাকেই ইবাদত করো।”

এই এক উম্মতকে যদি আমরা ফিরকা ফিরকা করে টুকরো করি,
তাহলে আমরা কুরআনের সাথে প্রতারণা করবো।
তাহলে আমরা রাসূলের সাথে প্রতারণা করবো।
তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের কবরে নিয়ে যাবো বিভেদের আগুন।

বন্ধুগণ!
তাই আসুন,
আজ আমরা শপথ করি—
আমরা কোনো মাজহাবের অনুসারী নই,
আমরা কোনো ফিরকার সৈনিক নই,
আমরা আল্লাহর কিতাবের দাস, আমরা কুরআনের অনুসারী।
আমাদের পরিচয় একটাই—
“মুসলিম”।

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।

Post a Comment

0 Comments