বিষয়: সুরা নিসার ১০২-১০৩ আয়াত — রাকাত নয়, বরং যোগাযোগ, অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলার শিক্ষা
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، وَسَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَسَلَامٌ عَلَى مُحَمَّدٍ الَّذِي جَاءَ بِالْقُرْآنِ مُهَيْمِنًا
অর্থ:
“হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানদের কুমন্ত্রণার হাত থেকে। আমি আশ্রয় চাই, তারা যেন আমার নিকট উপস্থিত না হয়। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর, যে হেদায়াত অনুসরণ করে। আর শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মদের উপর, যিনি কোরআন নিয়ে এসেছেন নিয়ন্ত্রক ও প্রমাণক হিসেবে।”
বন্ধুগণ!
আজ আমি এমন এক সত্য উন্মোচন করতে চাই, যা যুগ যুগ ধরে আড়াল করা হয়েছে। সুরা নিসার ১০২-১০৩ আয়াতকে ব্যবহার করে আমাদের বোঝানো হয়েছে — দেখো, এখানে দুই রাকাত নামাজের দলিল আছে! অথচ সত্য হলো, এই আয়াতে কোথাও রাকাত শব্দ নেই, নেই মাথা ঠেকানোর কোনো দৃশ্য। বরং এখানে আছে যুদ্ধক্ষেত্রের তীব্র উত্তেজনা, সৈন্যদের শৃঙ্খলা, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, আর নেতৃত্বের প্রতি অঙ্গীকার।
বন্ধুগণ!
চলুন আয়াতটা কল্পনা করি। রাসূল যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত। শত্রুরা ঘিরে রেখেছে চারপাশ। তীর ছুটছে, তলোয়ার ঝলসে উঠছে, তবুও মুমিনরা রাসূলের নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছে। তারা অস্ত্র ফেলে রাখেনি, বরং হাতে অস্ত্র, মনে আনুগত্য, ঠোঁটে অঙ্গীকার। এটাই ছিল সালাত—একটি শপথ অনুষ্ঠান, একটি যোগাযোগ, একটি ঘোষণা: "হে আল্লাহ! আমরা তোমার আদেশ মেনে চলবো, যুদ্ধে প্রাণ দিলেও পিছু হটব না।"
বন্ধুগণ!
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই দৃশ্যকে সংকুচিত করে বলা হলো—"এখানে ২ রাকাত নামাজ প্রমাণিত!" ওহে বিভ্রান্তকারীরা! যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের তুমি কি মসজিদের মতো দাঁড় করাবে? তারা কি তলোয়ার ফেলে মাথা মাটিতে ঠেকাবে? শত্রুরা কি ততক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাততালি দেবে? না, বরং আল্লাহ বললেন—"অস্ত্র হাতে রেখো।" কেন? কারণ আল্লাহ জানতেন, সালাত মানে মাথা ঠেকানো নয়, বরং অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
বন্ধুগণ!
আয়াত ১০২-এ পরিষ্কার বলা হয়েছে: "যখন তুমি তাদের মধ্যে থাকবে এবং তাদের জন্য সালাত কায়েম করবে, তখন একদল তোমার সাথে দাঁড়াবে, তারা যেন অস্ত্র হাতে নেয়। যখন তারা 'সিজদা' করবে—অর্থাৎ তারা মেনে নেবে, শপথে অঙ্গীকার করবে—তখন তারা তোমাদের পেছনে চলে যাবে। তারপর আরেক দল আসবে, তারাও একই শপথ করবে।"
এখানে রাকাত কোথায়? এখানে মাটিতে কপাল ঠেকানো কোথায়? এখানে আছে দলবদ্ধভাবে আনুগত্যের অনুষ্ঠান।
প্রথম দল আসল, শপথ নিল, চলে গেল। দ্বিতীয় দল এলো, শপথ নিল। এভাবে যুদ্ধক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা নষ্ট হয়নি।
বন্ধুগণ!
এটাই হলো "সিজদা"—মেনে নেওয়া। এটাই হলো "সালাত"—চুক্তি অনুষ্ঠান।
বন্ধুগণ!
এরপর আয়াত ১০৩ আমাদের আরও স্পষ্ট করে দিল। বলা হলো: "যখন তোমরা সালাত শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করো। নিরাপদ হলে আবার পূর্ণভাবে সালাত কায়েম করো।"
প্রশ্ন করি—যদি সালাত মানে পাঁচ ওয়াক্তের রাকাত হতো, তবে আল্লাহ কেন বললেন—"দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে স্মরণ করো"? মসজিদের মতো রাকাত-পদ্ধতি কি বসে বা শুয়ে হয়? না! এটা প্রমাণ করে, সালাত ছিল স্মরণ, যোগাযোগ, প্রতিজ্ঞা—যা যে অবস্থাতেই হোক কায়েম করা যায়।
বন্ধুগণ!
এখন আমি আপনাদের চোখে চোখ রেখে বলছি—যারা এই আয়াতকে ২ রাকাত নামাজ প্রমাণে ব্যবহার করে, তারা আসলে কোরআনের রক্তে ছুরি চালাচ্ছে। কোরআনকে সংকুচিত করছে, এর গভীর বার্তাকে মুছে দিয়ে একরকম আচার-অনুষ্ঠানে পরিণত করছে। অথচ আল্লাহর উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন—তিনি চেয়েছিলেন মুসলিমরা যেন শৃঙ্খলা না হারায়, যুদ্ধক্ষেত্রেও যেন অঙ্গীকারে দৃঢ় থাকে, একে অপরের সাথে এবং আল্লাহর সাথে যোগাযোগ না ভাঙে।
বন্ধুগণ!
ভাবুন তো—যুদ্ধের ময়দানে যখন একজন সৈন্য রাসূলের সামনে দাঁড়াচ্ছে, অস্ত্র হাতে, শত্রু ঘিরে রেখেছে—সে আসলে কি করছে? সে বলছে:
“হে আল্লাহ! আমি প্রস্তুত, আমি মেনে নিচ্ছি তোমার নির্দেশ, আমি আনুগত্য করছি রাসূলের নেতৃত্বে।”
এটাই তো সালাত, এটাই তো সিজদা।
বন্ধুগণ!
কোরআন বারবার বলছে—সালাত হলো শৃঙ্খলা ও চুক্তি। সুরা নিসার এই আয়াতগুলোই তার জীবন্ত উদাহরণ। এখানে শুধু নামাজ প্রমাণ নয়, বরং মুসলিম সমাজের এক অভূতপূর্ব দৃঢ়তা ও সংগঠন তুলে ধরা হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে বিভ্রান্ত করা হলো?
তাদের বলা হলো—"দেখো, প্রথম দল দাঁড়াল, তারপর সিজদা করল, মানে মাথা ঠেকাল, তাই দুই রাকাত হলো!"
আরে ভাই! আল্লাহ কি বললেন মাথা ঠেকাও? না, আল্লাহ বললেন—"অস্ত্র হাতে রেখো!" যদি সত্যিই মাথা ঠেকানো হতো, তবে অস্ত্র কেমন করে হাতে রাখবে?
বন্ধুগণ!
এটাই হলো সত্য। সালাতকে রাকাতের ফাঁদে ফেলা মানে কোরআনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া।
সালাত হলো যোগাযোগ—আল্লাহর সাথে, রাসূলের সাথে, সমাজের সাথে।
সালাত হলো শপথ অনুষ্ঠান—আল্লাহর পথে আনুগত্যের অঙ্গীকার।
সিজদা হলো মেনে নেওয়া—আল্লাহর নির্দেশ ও নেতৃত্বে মাথা নত করা।
বন্ধুগণ!
আজ যদি আমরা এই সত্য উপলব্ধি করি, তাহলে আমাদের সালাত শুধু আচার-অনুষ্ঠান হবে না, বরং এক জীবন্ত শক্তি হয়ে উঠবে। যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন ছিল, তেমনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সালাত আমাদের দাঁড় করাবে আল্লাহর পথে অঙ্গীকারবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এক বাহিনী হিসেবে।
বন্ধুগণ!
আমি আপনাদের আহ্বান জানাই—সুরা নিসার এই আয়াতগুলো আবার পড়ুন, বারবার পড়ুন। দেখুন—এখানে নেই কোনো রাকাতের দলিল, বরং আছে সাহস, শৃঙ্খলা, আনুগত্য।
তাহলে আসুন, আমরা বিদ্রোহ করি সেই সব মিথ্যার বিরুদ্ধে, যারা কোরআনকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে।
আসুন আমরা ঘোষণা করি—
সালাত মানে রাকাত নয়!
সিজদা মানে মাথা ঠেকানো নয়!
সালাত মানে আনুগত্যের শপথ, যোগাযোগ, চুক্তি!
সিজদা মানে মেনে নেওয়া, মাথা নত করা, অঙ্গীকার করা!
বন্ধুগণ!
এই সত্যই মানুষের হৃদয় কাঁপাবে। এই সত্যই আমাদের জীবনের খোরাক হবে।
আজকের এই বক্তব্য থেকে আমি চাই—আপনারা নতুন দৃষ্টিতে কোরআনকে দেখুন। আর বুঝুন—আল্লাহর বাণী আচার নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ বাস্তবতা।
১. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
বন্ধুগণ!
সালাত ছিল একটি শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন। রাসূল যখন বাহিনীকে নিয়ে ময়দানে দাঁড়াতেন, তখন সালাতের মাধ্যমে তিনি শৃঙ্খলিত করতেন সৈন্যদের। এটি ছিল এক ধরনের শপথ—
👉 আমরা পিছু হটব না।
👉 আমরা একে অপরকে ছেড়ে যাব না।
👉 আমরা আল্লাহর পথে প্রাণ দেব, তবু বিশ্বাস ছাড়ব না।
এই অঙ্গীকারই মুমিনদেরকে পরিণত করেছিল অদম্য বাহিনীতে। শত্রুরা তাদের অস্ত্র ভাঙতে পেরেছিল, কিন্তু তাদের মনোবল ভাঙতে পারেনি।
২. বিকৃতির সূত্রপাত
বন্ধুগণ!
রাসূলের মৃত্যুর শত বছর পর, যখন খিলাফতের রাজনীতি দুর্বল হতে শুরু করল, তখন দরকার হলো এমন এক ধর্মব্যবস্থা, যা জনগণকে শাসকের দাস বানিয়ে রাখবে। তারা ভাবল—যদি সালাতকে একটি নির্দিষ্ট আচার-অনুষ্ঠান বানানো যায়, তাহলে জনগণ সারাদিন সেই আচার নিয়েই ব্যস্ত থাকবে, কিন্তু আসল চুক্তি, শপথ, এবং সামাজিক দায়িত্ব ভুলে যাবে।
তখনই শুরু হলো বিকৃতি।
তারা বলল—"সালাত মানে দাঁড়িয়ে কোরআন পড়া, রুকু করা, সিজদা করা, রাকাত শেষ করা।"
তারা বলল—"সিজদা মানে কপাল মাটিতে ঠেকানো।"
তারা বলল—"সুরা নিসার ১০২ আয়াত প্রমাণ করে যুদ্ধের সময় দুই রাকাত পড়া যায়।"
বন্ধুগণ!
এভাবে এক মহাশক্তিশালী শপথ অনুষ্ঠানকে বানিয়ে ফেলা হলো কয়েক মিনিটের আচার! আর মানুষকে বলা হলো—তুমি দিনে পাঁচবার এই আচার সম্পন্ন করলেই তুমি মুক্ত, দায়িত্ব শেষ!
৩. যুদ্ধক্ষেত্র বনাম মসজিদ
বন্ধুগণ!
চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন। একদিকে তলোয়ার, বর্শা, ঢাল, শত্রুর আক্রমণ। অন্যদিকে সৈন্যরা রাসূলের সামনে দাঁড়িয়ে শপথ করছে।
এখন বলুন—এটা কি মসজিদের মতো শান্ত পরিবেশ?
কেউ কি এখানে লম্বা তিলাওয়াত করবে?
কেউ কি এখানে সিজদায় মাথা ঠেকিয়ে থাকবে?
না! এখানে সময় নেই, এখানে সুযোগ নেই।
আল্লাহ নিজেই বললেন—"অস্ত্র হাতে রেখো।"
যদি সত্যিই নামাজ হতো, তবে তো অস্ত্র রাখা যেত না। কিন্তু আল্লাহর বাণী প্রমাণ করছে—সালাত মানে ছিল অঙ্গীকার অনুষ্ঠান, আর সিজদা মানে ছিল মেনে নেওয়া।
৪. “সিজদা”র প্রকৃত অর্থ
বন্ধুগণ!
“সিজদা” শব্দটি কোরআনে এসেছে বহু স্থানে। সব জায়গায় কি কপাল ঠেকানো বোঝানো হয়েছে? না!
➡️ সূর্য-চন্দ্র, তারা, গাছপালা — সবাই সিজদা করে (রাদ ১৫, হজ্জ ১৮)। তারা কি মাথা ঠেকায়? না, তারা আল্লাহর নিয়ম মেনে চলে।
➡️ ফেরেশতারা আদমকে সিজদা করেছিল (বাকারাহ ৩৪)। তারা কি কপাল মাটিতে ঠেকাল? না, তারা আদমের মর্যাদা মেনে নিল।
তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে “যখন তারা সিজদা করবে” মানে কী? মানে—যখন তারা অঙ্গীকার মেনে নেবে। যখন তারা ঘোষণা করবে—“আমরা প্রস্তুত!”
৫. সালাতকে সময়ের বাঁধনে বেঁধে দেওয়া
বন্ধুগণ!
আয়াত ১০৩-এ বলা হলো—"সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফরজ করা হয়েছে।"
এখানেই রয়েছে এক বিরাট ইশারা।
👉 সালাত কোনো একটানা অনুষ্ঠান নয়।
👉 বরং জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে, প্রতিটি সংকটে, প্রতিটি সময়সীমায় আল্লাহ চাইছেন আমরা অঙ্গীকার নবায়ন করি।
তাহলে মুমিনদের সালাত মানে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে—যেভাবে পারি আল্লাহকে স্মরণ করা। নিরাপদ অবস্থায় আবার সামষ্টিক শপথ কায়েম করা।
কিন্তু পরবর্তীতে এই “মাওকুতান” শব্দটাকে ঘুরিয়ে ফেলা হলো—“পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।” অথচ আয়াতে ওয়াক্তের সংখ্যা নেই, নেই রাকাতের সংখ্যা।
৬. বিভ্রান্তির ফলাফল
বন্ধুগণ!
ফল কী হলো?
মুমিনরা আচার-অনুষ্ঠানে নিমগ্ন হয়ে গেল। তারা ভেবেছে—রাকাত গুনে গুনে পড়লেই দায়িত্ব শেষ।
ফলে সমাজ থেকে অঙ্গীকার হারিয়ে গেল।
একতা ভেঙে গেল।
শৃঙ্খলা বিলীন হলো।
এখন মুসলিম জাতি সারাবিশ্বে ছিন্নভিন্ন। কেন? কারণ তারা সালাতকে জীবনের শপথ হিসেবে না দেখে, বানিয়েছে আচার হিসেবে।
৭. সত্যের ঘোষণা
বন্ধুগণ!
আজ সময় এসেছে আমরা এই আয়াতের আসল শক্তি পুনরুদ্ধার করি।
👉 সালাত মানে যোগাযোগ — আল্লাহর সাথে, নেতৃত্বের সাথে, সমাজের সাথে।
👉 সালাত মানে অঙ্গীকার — আমরা অন্যায় মেনে নেব না, আমরা ন্যায়ের জন্য জীবন দেব।
👉 সিজদা মানে মেনে নেওয়া — আল্লাহর বিধানের সামনে মাথা নত করা, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আনুগত্য করা।
বন্ধুগণ!
যখন আমরা এই সত্য মেনে নেব, তখন সালাত আমাদেরকে আবারও এক জাতিতে পরিণত করবে।
৮. বিদ্রোহের আহ্বান
বন্ধুগণ!
আসুন আজ আমরা ঘোষণা করি—
আমরা সালাতকে রাকাতের ফাঁদে বন্দি করব না।
আমরা সিজদাকে মাটিতে মাথা ঠেকানোতে সীমাবদ্ধ করব না।
আমরা কোরআনের সত্য অর্থ পুনরুদ্ধার করব।
আজ থেকে আমাদের সালাত হবে জীবনব্যাপী যোগাযোগ, অবিরাম অঙ্গীকার, নিরন্তর আনুগত্য।
আজ থেকে আমাদের সিজদা হবে আল্লাহর বিধান মেনে নেওয়া, অন্যায়ের কাছে মাথা না ঝোঁকানো।
বন্ধুগণ!
এই আয়াতগুলো কোনো দুই রাকাত নামাজের দলিল নয়। এগুলো হলো জীবন্ত বিপ্লবের ঘোষণা, শৃঙ্খলার পাঠ, আনুগত্যের পাঠ।
যদি আমরা এই সত্য উপলব্ধি করি, তবে মুসলিম জাতি আবার দাঁড়াবে শক্তি নিয়ে, শৃঙ্খলা নিয়ে, সাহস নিয়ে।
তাহলে আসুন, আমরা সবাই মিলে সেই সত্যকে আঁকড়ে ধরি।
আমরা শপথ করি—
সালাত হবে অঙ্গীকার, সিজদা হবে মেনে নেওয়া।
কোনো দল, কোনো মাওলানা, কোনো ইমাম আমাদেরকে এই সত্য থেকে সরাতে পারবে না।
0 Comments