নবী হাদিস লিখে রাখতে নিষেধ করেছিলেন – কেন?
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، وَسَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَسَلَامٌ عَلَى مُحَمَّدٍ الَّذِي جَاءَ بِالْقُرْآنِ مُهَيْمِنًا
(হে আমার রব! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের কুমন্ত্রণার হাত থেকে, আর আমি তোমার কাছেই আশ্রয় চাই যাতে তারা আমার কাছে না আসে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিজগতের প্রতিপালক। শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর, যে হেদায়াতের অনুসরণ করেছে। এবং শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মদের উপর, যিনি কুরআনকে “অধিপতি” বানিয়ে এনেছেন।)
বন্ধুগণ!
শুনুন আজকের বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা— নবী সালামুন আলা মুহাম্মাদ তাঁর যুগে হাদিস লিখে রাখতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলেন। কেন? তিনি কি নিজের থেকে নিষেধ করেছিলেন? না, এটি ছিল কুরআনকে একমাত্র দিশারী রাখার জন্য এক অবিচল ঘোষণা। তিনি জানতেন, মানুষ যদি আল্লাহর কিতাবের পাশে আরেকটি কিতাব দাঁড় করায়, তবে মানুষের মন ঝুঁকে যাবে সেই দ্বিতীয় কিতাবের দিকে।
বন্ধুগণ!
আজ আমরা ইতিহাসের দিকে তাকাই— নবীর যুগে যখন সাহাবারা আল্লাহর কিতাব লিপিবদ্ধ করছিলেন, তখনই একদল লিখতে চাইলো তাঁর বাণীও। কিন্তু তিনি থামালেন। তিনি বললেন:
لَا تَكْتُبُوا عَنِّي شَيْئًا سِوَى الْقُرْآنِ، فَمَنْ كَتَبَ عَنِّي غَيْرَ الْقُرْآنِ فَلْيَمْحُهُ
(আমার কাছ থেকে কুরআন ছাড়া আর কিছু লিখো না। আর যে কেউ আমার কাছ থেকে কুরআন ছাড়া কিছু লিখেছে, সে তা মুছে ফেলুক।) – (সহীহ মুসলিম, হাদিস 3004)
বন্ধুগণ!
এটি কি হালকা কথা ছিল? না, এটি ছিল এক মহাপ্রচণ্ড সতর্কবার্তা। নবী জানতেন— আল্লাহর কিতাবের সিংহাসন যেন আর কারো হাতে না যায়। কারণ পূর্বের জাতিগুলো ধ্বংস হয়েছিল ঠিক এই কারণেই। তারা আল্লাহর কিতাবের পাশে মানুষের বানানো গ্রন্থ সাজিয়ে রেখেছিল, আর ধীরে ধীরে আল্লাহর কিতাব চাপা পড়ে গিয়েছিল।
বন্ধুগণ!
দেখুন আজকের খ্রিস্টানদের! তাদের হাতে আছে "ইনজিল"— কিন্তু তারা কী পড়ে? তারা পড়ে পলের লেখা "লেটার", "করিন্থীয়ান", "রোমানস", "গালাতীয়ান"। ইনজিলকে তারা জানেই না। একই ঘটনা ইহুদিদের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। তাওরাতের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল তালমুদ। ফলাফল— আল্লাহর কিতাব হারিয়ে গেল অন্ধকারে।
বন্ধুগণ!
সালামুন আলা মুহাম্মাদ এ ইতিহাস জানতেন। তাই তিনি উম্মতকে বাঁচাতে বললেন: “আমার মুখের কথা লিখো না, কেবল কুরআন লিপিবদ্ধ করো।”
তবুও প্রশ্ন জাগে— কেন তিনি এ নির্দেশ দিলেন? তিনটি কারণ আপনাদের সামনে বজ্রধ্বনির মতো উচ্চারণ করি:
১️⃣ আলাদা শরিয়ত সৃষ্টি হয়ে যাওয়ার ভয়।
মানুষ ভাববে— কুরআন এক শরিয়ত, হাদিস আরেক শরিয়ত। অথচ আল্লাহ ঘোষণা করেছেন:
شَرَعَ لَكُم مِّنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا…
(তিনি তোমাদের জন্য একই দীন নির্ধারণ করেছেন, যা নূহকে দিয়েছেন…) – সূরা আশ-শূরা 42:13
শরিয়ত কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, মানুষের মুখ থেকে নয়।
২️⃣ পূর্বের জাতির কলুষিত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়ার ভয়।
তাওরাত চাপা পড়েছিল তালমুদের নিচে, ইনজিল চাপা পড়েছিল চার্চের ফতোয়ার নিচে। তাই ইসলামকে নির্ভেজাল রাখার জন্য নবী সতর্ক করেছিলেন।
৩️⃣ কুরআন ঢাকা পড়ে যাওয়ার ভয়।
কারণ কুরআন আল্লাহর শেষ কিতাব। এটির গুরুত্ব হারিয়ে গেলে আর কোনো কিতাব আসবে না।
বন্ধুগণ!
আজ দেখুন— সেই ভয়ই সত্য হয়েছে। আজকের মুসলমানের ঘরে ঘরে কুরআন আছে, কিন্তু তারা পড়ে কী? তারা পড়ে "সহীহ বুখারী", "সহীহ মুসলিম", "আবু দাউদ", "তিরমিজী"। কেউ কুরআন খুলে না। আর যদি খোলে, তাও হাদিস আর ফেকাহর চশমা চোখে লাগিয়ে পরে।
বন্ধুগণ!
এবার আসুন আয়াতের বজ্রশক্তি শুনুন—
أَفَغَيْرَ اللَّهِ أَبْتَغِي حَكَمًا وَهُوَ الَّذِي أَنزَلَ إِلَيْكُمُ الْكِتَابَ مُفَصَّلًا
(আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিধানদাতা হিসেবে চাইবো, অথচ তিনিই তোমাদের কাছে কিতাব নাযিল করেছেন সুস্পষ্টভাবে?) – সূরা আন’আম 6:114
وَاتَّبِعُوا مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ
(তোমাদের রবের কাছ থেকে যা নাযিল হয়েছে, তার অনুসরণ করো। তার বাইরে অন্য কোনো অভিভাবক অনুসরণ কোরো না।) – সূরা আল-আ’রাফ 7:3
বন্ধুগণ!
কিন্তু আজকের বাস্তবতা কী? আজ আমাদের জাতি কুরআনকে ফেলে হাদিসের পেছনে ছুটছে। একেক ইমাম একেক গ্রন্থ লিখেছেন, একেক ফিকাহ একেক শরিয়ত দাঁড় করিয়েছে। কেউ বলে, হাত বুকে বাঁধো। কেউ বলে, নাভির নিচে বাঁধো। কেউ বলে, রাফায়াদাইন করো। কেউ বলে, করো না। এই বিভক্তি কিসে?— হাদিস লিখে রাখার কারণেই!
বন্ধুগণ!
সালামুন আলা মুহাম্মদ এর চোখের সামনে যদি এসব হত, তিনি হয়তো বজ্রকণ্ঠে আবার বলতেন—
“আমি তো তোমাদের কাছে একটাই কিতাব এনেছিলাম— কুরআন। তোমরা কেন তার পাশে শত শত কিতাব বানালে?”
বন্ধুগণ!
আজকের মুসলিম সমাজ তার ফল ভোগ করছে। বিভাজন, গণ্ডগোল, রক্তপাত, মারামারি— সবকিছুর মূলে সেই নিষেধ অমান্য করা।
আল্লাহ বলেছিলেন—
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ
(আমি তোমার কাছে কিতাব নাযিল করেছি সত্যসহ, যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর উপর কর্তৃত্বকারী।) – সূরা মায়িদাহ 5:48
কিন্তু আজ কুরআন কতৃত্বদানকারী নয়, বরং বুখারী-মুসলিম কতৃত্বদানকারী হয়ে গেছে!
বন্ধুগণ!
এখন প্রশ্ন করি— হাদিস লিখে রাখার কারণে বর্তমান জাতির অবস্থা কী?
✔ কুরআন অন্ধকারে চাপা পড়েছে।
✔ মুসলমানদের মধ্যে শত শত মাজহাব সৃষ্টি হয়েছে।
✔ ধর্ম হয়ে গেছে পীর-ফকির, মাজার ও ফতোয়ার কারবার।
✔ কুরআনের বদলে মুখস্ত করা হচ্ছে হাজার হাজার হাদিস, অথচ একবারও কুরআন খোলা হয় না।
বন্ধুগণ!
আজকের এই অন্ধকার ঠিক তাই, যেটা নবী ভয় করেছিলেন। নবী হাদিস লিখতে নিষেধ করেছিলেন যাতে মানুষ আলাদা শরিয়ত না বানায়। কিন্তু মানুষ তাঁকে অমান্য করল। ফলাফল— আমরা আজ বিভক্ত, দিশেহারা, দুর্বল, লাঞ্ছিত।
বন্ধুগণ!
এখন সময় এসেছে বজ্রধ্বনিতে ঘোষণা করার—
কুরআনই একমাত্র বিধান! কুরআনই একমাত্র শরিয়ত! আর বাকিগুলো মানব রচনা, যেগুলো আল্লাহর কিতাবের সমান হতে পারে না।
বন্ধুগণ!
কল্পনা করুন— নবীর মৃত্যুর মাত্র ১০০ বছরের মধ্যে, মুসলমানদের ঘরে ঘরে আলাদা আলাদা গ্রন্থ তৈরি হলো। কুরআন এক পাশে, আর বাকি জায়গা দখল করে নিলো হাজার হাজার বর্ণনার বই। বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ— প্রতিটি গ্রন্থ যেন আল্লাহর কিতাবের সমকক্ষ আসনে বসে গেল!
বন্ধুগণ!
আজ যদি কোনো মানুষ কুরআনের আয়াত তুলে ধরে, তখনই তাকে বলা হয়—
“না, আগে বুখারী দেখাও।”
“না, আগে মুসলিমে কী আছে দেখাও।”
তাহলে কি প্রমাণিত হলো না— নবীর সেই ভয় সত্যি হয়ে গেছে? কুরআন ঢাকা পড়ে গেছে হাদিসের নিচে।
বন্ধুগণ!
আল্লাহ কুরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন—
وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ
(তোমার রবের বাণী সত্য ও ন্যায়ে পূর্ণ হয়েছে। তাঁর বাণীগুলো পরিবর্তন করার কেউ নেই।) – সূরা আন’আম 6:115
কিন্তু মুসলমান বলছে— কুরআন যথেষ্ট নয়, কুরআনের সাথে দরকার হাজার হাজার হাদিস! এ কি নবীর আনুগত্য? নাকি তাঁর সতর্কবাণীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা?
বন্ধুগণ!
আজ মুসলিম জাতি ছিন্নভিন্ন।
শিয়া–সুন্নি, আহলে হাদিস–হানাফি, মালিকি–শাফেয়ি–হাম্বলি—
একেকটি মাজহাব একেকটি আলাদা কিতাবকে কুরআনের সমান করেছে। কেউ বলে— “আমাদের ইমামই ঠিক।” কেউ বলে— “আমাদের সনদই আসল।” অথচ আল্লাহ কুরআনে বলেছেন—
وَأَنَّ هَٰذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِ
(এটাই আমার সরল পথ। তোমরা এর অনুসরণ করো। ভিন্ন পথের অনুসরণ কোরো না, নচেৎ তারা তোমাদের বিভক্ত করে দেবে তাঁর পথ থেকে।) – সূরা আন’আম 6:153
বন্ধুগণ!
নবী বলেছিলেন—
لَا تَكْتُبُوا عَنِّي شَيْئًا سِوَى الْقُرْآنِ
(আমার কাছ থেকে কুরআন ছাড়া কিছু লিখো না।)
কিন্তু উম্মত অমান্য করলো। আর আজ আমরা দেখছি সেই অমান্যের ফল—
🔹 ৭০টি ফিকাহি মতবাদ,
💠 অর্ধশতাধিক হাদিসের কিতাবে নবীর নামে লিখিত লক্ষ লক্ষ মিথ্যা হাদিস।।
🔹 লক্ষ লক্ষ ফতোয়ার বই,
🔹 মাজার, দরবার, তাবিজ, ঝাড়ফুঁক—
সব কিছু আল্লাহর কিতাবের উপরে বসে গেছে। এখন মানুষ আজিবন এগুলোই চর্চা করছে। অনেকে এগুলোর দালালী করতে গিয়ে কুরআনকেই অপর্যাপ্ত ঘোষনা করছে।
বন্ধুগণ!
এখন কেউ যদি ঘোষণা করে— “আমার জন্য কুরআনই যথেষ্ট”— তাকে বলা হয় গোমরাহ, কাফির, আহলে কুরআন, মুরতাদ! অথচ আল্লাহর রাসূলের নিজেই বিদায় হজ্বের ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন —
আমি তোমাদের নিকট এমন এক জিনিষ রেখে যাচ্ছি যদি তা আকড়ে ধরে রাখ তাহলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা।।
কিন্তু আজ দেখুন প্রায় সম্পুর্ণ জাতি কুরআন ছেড়ে দিয়ে পথ হাড়িয়ে বসে আছে।
যারা আজ কুরআন আকড়ে ধরতে চায় তাদেরকেই পথ ভ্রষ্ট, গোমড়াহ, কাফের, মুরতাদ ট্যাগ লাগিয়ে সমাজচ্যুত করা হচ্ছে।
কিন্তু সর্বসম্মত ও সত্য ঘোষণাই হলো— নবী তাঁর জীবনে লিখিত সুন্নাহ রেখে যাননি, কেবল কুরআনকেই সংরক্ষণ করিয়েছিলেন।
বন্ধুগণ!
তোমরা যদি হাদিসকে কুরআনের সমান বানাও, তবে তোমরা — আল্লাহর কিতাবকে অসম্পূর্ণ! মনে করছ। অথচ আল্লাহ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন—
مَّا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِن شَيْءٍ
(আমরা কিতাবে কোনো কিছুই বাদ দিইনি।) – সূরা আন’আম 6:38
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ
(আমি তোমার কাছে এ কিতাব নাযিল করেছি সব কিছুর স্পষ্ট ব্যাখ্যা হিসেবে।) – সূরা নাহল 16:89
তাহলে বলুন— হাদিসের পাহাড় বানানো কি আল্লাহর আয়াতের অস্বীকৃতি নয়?
বন্ধুগণ!
আজ আমরা সেই জাতি, যারা আল্লাহর কিতাবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। ফলাফল?
🔸 আমরা বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছি।
🔸 আমরা রাজনীতিতে ভিক্ষুক হয়েছি।
🔸 আমরা সংস্কৃতিতে অন্ধকারে ডুবে আছি।
🔸 আমরা একে অপরের রক্ত ঝরাচ্ছি— শুধু হাদিসভিত্তিক মতভেদের কারণে।
বন্ধুগণ!
শুধু তাই নয়, হাদিস লিখে রাখার কারণে ধর্ম ব্যবসা শুরু হয়েছে। একেক মওলানা একেক হাদিস তুলে ধরে ফতোয়া দেয়। কেউ বলে— “এটা ফরজ।” কেউ বলে— “ওটা হারাম।” কেউ বলে— “এটা বিদআত।” অথচ আল্লাহর কিতাবে এগুলোর কোন স্থান নেই।
ফলাফল— ইসলাম আজ পরিণত হয়েছে মাজারের, তাবিজ - তুমার, ঝাড়-ফুঁক, ব্যবসায়িক ওয়াজ-মাহফিল আর রাজনীতির হাতিয়ার।
বন্ধুগণ!
কিন্তু সত্য এখনো জ্বলছে। কুরআনের বজ্রধ্বনি এখনো ঘোষণা করছে—
إِنَّ هَٰذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ
(নিশ্চয়ই এই কুরআন সবচেয়ে সঠিক পথ দেখায়।) – সূরা বনী ইসরাইল 17:9
কুরআন ছাড়া আর কোনো কিতাব হিদায়াত দিতে পারবে না।
বন্ধুগণ!
আজ যদি আমরা আবার কুরআনে ফিরে যাই, তবে মুক্তি আসবে। যদি আমরা আল্লাহর কিতাবকে একমাত্র আইন ও সংবিধান মানি, তবে দুনিয়ার নেতৃত্ব আবার আমাদের হাতে আসবে।
কিন্তু যদি হাদিসকে কুরআনের সমান আসনে বসাই, তবে বিভাজন, যুদ্ধ, অন্ধকার চিরকাল আমাদের ঘাড়ে চেপে থাকবে।
বন্ধুগণ!
আজ আমি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিচ্ছি—
🔥 হাদিস লিখে রাখার কারণে আমরা ধ্বংস হয়েছি!
🔥 নবীর নিষেধ অমান্য করার কারণে আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েছি!
🔥 আল্লাহর কিতাবকে বাদ দিয়ে মানবকথা উঁচুতে তোলার কারণে আমরা দুনিয়ায় অপমানিত, আখিরাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবো!
বন্ধুগণ!
এখন সিদ্ধান্ত নাও— আমরা কি কুরআনে ফিরবো, নাকি মানুষের কথাকে আল্লাহর কিতাবের উপরে বসাবো?
👉 কুরআনে ফিরলে এক আল্লাহ, এক কিতাব, এক উম্মাহ।
👉 কুরআন ত্যাগ করলে হাজার মাজহাব, হাজার ফতোয়া, হাজার বিভাজন।
বন্ধুগণ!
শেষ করছি আল্লাহর আয়াত দিয়ে, যেন এই বজ্রধ্বনি আমাদের হৃদয়ে কাঁপন তোলে—
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ
(আমি তোমার কাছে কিতাব নাযিল করেছি সত্যসহ, যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী এবং তাদের উপর কর্তৃত্বকারী।) – সূরা মায়িদাহ 5:48
বন্ধুগণ! মনে রেখো—
কুরআনই “মুহাইমিন”— কুরআনই “অধিপতি”—
কুরআন ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর শরিয়ত নয়!
⚡ সমাপ্তি ঘোষণা:
হাদিস লিখে রাখার পরিণতি আমরা ভোগ করছি।
কুরআনে ফিরে না গেলে মুক্তি নেই!
0 Comments