Subscribe Us

নবীর ইসলাম বনাম আলেমদের ইসলাম।



নবীর ইসলাম বনাম আলেমদের ইসলাম।

লিখকঃ-  মাহাতাব আকন্দ

চলো আমরা হই কুরআনের বজ্রকণ্ঠ!
চলো আমাদের আওয়াজ এমন হৌক — যা আসমান কাঁপায়,
চলো আমরা সেই আগুন হই— যা জালিয়ে দেবে যত ভন্ডামীর আস্তানা।
চলো আমরা সেই বিদ্রোহী হই —যারা  ভেঙে দেবে মিথ্যার বেড়া,
চলো আমরা সেই  তলোয়ার হই — যারা আঁধার চিরে সত্যের আলোয় করবে আলোকিত।

আমি বলি—
নবীর ইসলাম ছিল কুরআনের পথ,
আজকের আলেমরা বানায় সেটাকে এক ভ্রান্তমত!
ওরা বলে—“হাদিস না মানলে তুমি কাফের!”
আমি বলি—“হাদিস নয়, কুরআনেই আছে মুক্তির ছন্দধ্বনি, সুর!”

বন্ধুগণ!
নবী কি বলেছিলেন আমার পর তিনশ বছর পরে আসবে আবু দাউদ, তিরমিযি, মুসলিম ও বুখারী। নাকি আল্লাহ তাদের উপর ইমান আনতে বলেছিলেন? না এমন কোন শর্ত তিনি করে যাননি।
নবী কি বলেছিলেন—“আমার পর ৪ মাজহাবকে ধরো?”
না, তিনি বলেছিলেন—“আল্লাহর কিতাব আকড়ে ধর, তাহলেই মুক্তি পাবে, পথ হারাবেনা।”
কোথায় ছিল হানাফি, কোথায় ছিল মালেকি?
নবীর ইসলাম ছিল বিশুদ্ধ, নির্মল, একাকি।

চলো আমরা সেই বিস্ফোরণ হই —যে বিস্ফোরণ  উড়িয়ে দেয় অন্ধ অনুসরণ,
আমরা সেই তাওহীদের পতাকা হই—যার মাঝে নেই বিভ্রান্তির গন্ধ! নাই বিভক্তির গন্ধ!

আমি বলি—
“মাদরাসার বইয়ে নেই কুরআনের বিস্তার!” নাই কুরআনের গবেষনা, নাই কুরআনের আলোচনা।
ওরা শেখায়— সন্দেহের কিতাব, শেখায় ফেকার নামে মানব রচিত ধর্ম “আমার ইমাম বলেছে তাই সত্য, এটাই পরিস্কার, এটাই ধর্ম।”
চলো আমরা বলি—“ কোন ইমাম নয়, কুরআনই আমার ইমাম!” কোরআনই আমার কিতাব, কোরআনই আমার ধর্ম।
—“নবী ছিলেন কুরআনের ছায়া, তার সাথে পথ ধর, কুরআনই আসল ইসলাম।”

ওরা গদির লোভে, টাকার লোভে, উপাধী ও খেতাবের লোভে, এবং দলীয় চেতনায় বিভ্রান্ত,
চলো আমরা শিখি আল্লাহর কালাম, আমাদের হৃদয় হৌক কুরআনময়, উজ্জ্বল, দীপ্ত!

চলো আমরা জোড় গলায় বলি—
“ওহে আলেম, ওহে শায়েখ, ওহে পীর, মোল্লা! যদি সত্য বলো—তবে দাঁড়াও কালামের পাশে,
তোমার হাদিস, তোমার ব্যাখ্যা, যদি কুরআনের সঙ্গে না মিলে—
আমরা তা ছুঁড়ে ফেলে দিব ধ্বংসের গহ্বরে।”

চলো আমরা সেই মহাগর্জন হবে —যে গর্জন গুঁড়িয়ে দিবে গোঁড়ামির মিনার, গোমরাহীর অন্ধকার।

বন্ধুগণ!
তোমাদের শিখিয়েছে যারা—“এই হাদিস মানো,
না মানলে বিদ'আতী!”
তাদের বলো—“আমরা নবীর মতো কুরআনই মানি, ওটাই যথাযথ সূত্রধারী।”

নবী কি আলেমদের মত বসে লিখেছেন ৬০ হাজার হাদিস? না দিয়েছে গেছেন শত শত কিতাব?
তিনি বলতেন—“আমাকে ওহী দেয়া হয়েছে,—এটাই আমার কর্ম, এটাই আমার দায়িত্ব, এটাই আমার শেষ নিঃশ্বাস।”

“إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰ إِلَيَّ”
“আমি তো কেবল ওহীরই অনুসরণ করি।” (সূরা আহকাফ: ৯)

তবে বলো, নবীর অনুসরণ মানে কুরআনের অনুসরণ নয় কি?
আজকের আলেমদের ইসলাম যেন এক থিয়েটারের দৃশ্য, ভক্তির আবরণে মিথ্যা ঢাকা।
ইসলাম নিয়ে করে ব্যাবসা,
তারা ধর্মে বানায় রাজনীতি, শরিয়াতে বানায় সিন্ডিকেট,
আমরা কুরআনের আয়াতে খুঁজে পাই শান্তির বাক্য, সত্যের নির্দেশ।

ওরা দল বানায়, আমরা উম্মাহ খুঁজি!
ওরা কিতাব ছাড়ে, আমরা কিতাবে জড়াই আমাদের রক্তমাখা পাঞ্জাবি।
ওরা ফতোয়া দেয় শায়েখের শরিয়া থেকে, আমরা কুরআনের আয়াতে  ফয়সালা খুজি।
ওরা মিম্বর কাঁপায় মিথ্যায়, মাহফিলে করে গীবত, ছড়ায় হিংসা আর বিদ্বেষ!
আমরা শান্তি খুজি, ঐক্য খুজি কুরআনের আয়াতে।

আমি নবীর মত হিকমতি হবো, আমরা ইব্রাহিমের মত ধৈর্যশীল হবো,
আমরা মূসার মত ফেরাওনের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই করবো—"রক্তে আমার জ্বলে উঠুক কুরআনের দাবানল।

বন্ধুগণ!
তোমরা কি দেখ না?
ধর্মের নামে আজ চলছে ব্যবসা, দলাদলি, মারামারি!
ওরা নবীর নাম নিয়ে ভাগ করে উম্মত, বানায় বিভাজন, হানাহানি।

তোমাদের ইমাম যদি কুরআনের বিপরীতে কথা কয়—
তবে বলো—“ইন্নালিল্লাহ!” ওকে আল্লাহর দরবারে সোপর্দ করো নিশ্চয়।
আমি বলি—
“কুরআন ছাড়া নয় এক কদম!”
চলো আল্লাহর আয়াতেই খুঁজে নাও আমলের সোপান,
আমি কুরআনেরই সাথী, নবীরই সহচর, আমি একাকী সেই বিপ্লবী বান্দা—সত্য যার সম্বল, ঝড় যার বন্ধু, আকাশ যার পথ।

এপথে কি থাকবে আমার সাথে? কমেন্টে বলে যেও তোমার মতামত। এখন আসি, আবার দেখা হবে অন্য আরেক ভিডিওতে। ভালো লাগলে লাইক দিও, সাথে থেক। জাজাকাল্লাহ 

Post a Comment

0 Comments