Subscribe Us

f

নবীর পথ কুরআনের পথ- অন্য পথে অন্ধকার

 


নবীর পথ কুরআনের পথ- অন্য পথে অন্ধকার
লিখকঃ- মাহাতাব আকন্দ
বন্ধুগণ!
নবীর অনুসরণ মানে,
নবীর পথে চলা,
তাঁর জীবনের প্রতিচ্ছবি হওয়া।
নবী যার অনুসরণ করতেন তার অনুসরণ করা।
আর তিনি কিসের অনুসারী ছিলেন?
“ইন্না হাযাল কুরআনা ইয়াহদী লিল্লাতী হিয়া আকওয়াম।” (সূরা ইসরা: ৯)

তিনি ছিলেন কুরআনের অনুসারী,
তিনি শুধু কুরআন মানতেন,
তাঁর চরিত্র ছিল কুরআন—
“কানা খুলুকুহুল কুরআন” বলেছিলেন আয়েশা (রাঃ)
(সহীহ মুসলিম)

এরপরেও মানুষ কিকরে বলে—
নবীর অনুসরণ মানে হাদিস মানা!
তারা নবীর নামে মিথ্যা হাদিসের শিকল চাপিয়ে দেয় তোমার গলায় ।
তারা বানায় নতুন শরিয়ত, নতুন ধর্ম, যে ধর্মের উৎ হলো মানব রচিত কল্প কাহিনী।

বন্ধুগণ!
কুরআন বলছে—
“ইত্তাবি' মা উহিয়া ইলাইকা মিন রব্বিকা, লা ইলাহা ইল্লা হুয়া”
(সূরা আনআম: ১০৬)
“হে নবী! আপনি অনুসরণ করুন,
যা আপনার প্রতি ওহী নাজিল হয়েছে—
তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।”

“ফা-হুকুমু ইল্লা লিল্লাহ।”
(সূরা ইউসুফ: ৪০)
বিধান চলবে কেবল আল্লাহর।
তবে কেন মানব কথায় বানাও নতুন জীবন বিধান?

আমার বিদ্রোহ সত্যের বিরুদ্ধে নয়—
আমার বিদ্রোহ সেই সব মিথ্যার বিরুদ্ধে,
সেইসব প্রাতরকের বিরুদ্ধে
যারা কুরআনের নামে, নবীর নামে প্রতারণা করে।

বন্ধু
আমি তোমাকেই বলছি-
“তিলাওয়াত করো কুরআনের,
আলমারির তাক থেকে নামাও ধূলামলিন কিতাবটিকে!”
তোমার ঘরে যে আলো জ্বলেনি,
আজ সেই কিতাবের আলো জালাও তোমার ঘরে, তোমার হৃদয়ে।

তোমার নবী কি বলতেন?
“আমার নামে নতুন বিধান  বানাও?”
না! তিনি তো বলেছিলেন—
“ওয়ামা আলার  ইল্লাল বালাগুল মুবীন।”
(সূরা নূর: ৫৪)
“আমার দায়িত্ব কেবল কুরআনের স্পষ্ট বাণী পৌঁছানো।”

বন্ধুগণ!
আমি চাই কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে,
আমি চাই মানুষ জানুক কুরআনের মর্মবাণী।
তবে কেন তুমি আমার কন্ঠ রোধ করছ?
কেন আমার কথা পৌছুতে দিচ্ছনা?
নাকি মানুষ কুরআনের আলোয় ফিরে আসুক তা তুমি চাওনা?
যদি চাও, তাহলে কেন ভিডিও শেয়ার করনা?
যদি তোমার মনে সংকির্নতা থাকে,
যদি মনে কর শেয়ার দিলে আমার আইডির ভিউজ বাড়বে,
তাহলে ডাউনলোড করে তোমার আইডিতে ছাড়। কুরআনের কথাগুলো পৌছে যাক মানুষের অন্তরে।

বন্ধুগণ!
যে কণ্ঠে এই কুরআনের সুর বাজে,
সে কণ্ঠে নবীর অনুসরণ পূর্ণ।
নবী তো বলেছিলেন—
“আল্লাহর কিতাবই হচ্ছে চূড়ান্ত বিচারক।”
(সহীহ বুখারী, মিশকাত, অধ্যায়: হুজ্জাহ)

তবে হে জাতি!
তোমরা কেন সেই কিতাবকে ছুড়ে ফেলেছো?
হাদিসের পুস্তকের পেছনে হারিয়ে ফেলেছো মূল সত্য?

বন্ধুগণ!
আমি বলি—
আমার নবী কখনো নিজ থেকে কিছু বলেননি।
“ওয়ামা ইয়ানতিকু ‘আনিল হাওয়াঃ, ইন হুয়া ইল্লা ওহইউইউহা।”
(সূরা নাজম: ৩-৪)

তাঁর মুখ থেকে দীন হিসেবে যা উচ্চারিত হতো—
তা ছিল কুরআনের ওহী।
তবে আজ কেউ যদি বলে—
“নবীর অনুসরণ মানে হাদিস মানা,”
তবে সে কি কুরআনকে অস্বীকার করছে না?

বন্ধুগণ!
কুরআনের এই মহাসত্যকে তোমার বুকে জাগিয়ে তোলো।
আমি আমি কুরআনের পক্ষে গর্জে উঠি,
আমি কুরআনের কণ্ঠস্বর।
আমি বলি—
হে মানুষ, তোমার মুক্তির পথ একটাই—
“হা-যাল কুরআন”।

আমি চিৎকার করে বলবো —
“এই কিতাবেই রয়েছে আলো,
এই কিতাবেই রয়েছে হিদায়াত,
এই কিতাবেই রয়েছে বিচার ফয়সালা।”

বন্ধুগণ!
আমার হৃদয় প্রতিনিয়ত ক্রমাগত প্রশ্ন করতেই থাকে-
কেন তোমার মসজিদে কুরআনের আলোচনা কম হয়?
কেন তোমার দাওয়াতে কুরআন থাকেনা?
কেন তুমি খুতবা দাও হাদিস ভিত্তিক,
আর কুরআনের আয়াত কেবল রূপচিহ্ন?

আমি বলি—
উত্তর কুরআনে,
প্রশ্নের সমাধান কুরআনে,
নবীর জীবন কুরআনে,
তোমার মুক্তি কুরআনে।

বন্ধুগণ!
এই কুরআনই তোমার রাহবার,
এই কুরআনই তোমার নেতা,
নবীও তাই বলেছিলেন,
নবীও তাই মানতেন।

নবীর আলোচনায় ছিলো কুরআন,
তাঁর প্রতিটি কথায় ছিলো কুরআন—
নবী অনুসরণ করেছি একমাত্র শুধুমাত্র কুরআন।
তিনি ছিলেন কুরআনের এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত,
যা আজও আমাদের সামনে সুস্পষ্ট।
তিনি বলে গেছেন—
“ইন্না হাযাল কুরআনা ইয়াহদি লিল্লাতি হিয়া আকওয়াম।” (সূরা ইসরা: ৯)
“এই কুরআন পথপ্রদর্শক,
যে কোনো সত্যিকারের পথিকের জন্য।”

এখানে কোন সন্দেহ নেই—
কুরআন হচ্ছে তোমার জিবন বিধান,
কুরআনই তোমাকে পথ দেখাবে,
এবং সে পথ নবীর পায়ের ছাপেই থাকবে।
যখন নবী বলেন—
“তোমরা যা কিছু আমাকে দেখো, তার অনুসরণ করো।”
তাহলে তাঁর পায়ের ছাপ ছিল কুরআনের গুণাবলী।
নবী কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা থেকে কিছু বলেননি—
তাঁর প্রতিটি নির্দেশ ছিল কুরআনের।
এমনকি তাঁর চরিত্র ছিল কুরআনের প্রতিচ্ছবি—
যতদূর কুরআন মেনে চলেছেন, ততদূর আমরা।
তিনি বলেন—
“আমি তোমাদের মাঝে রেখে গেছি আল্লাহর কিতাব।”
এটি ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র নির্দেশ।

বন্ধুগণ,
কুরআনের দিকে ফিরে যাও,
অধিকার প্রতিষ্ঠা করো কুরআনের সাহায্যে,
অথবা নিঃস্ব হয়ে যাবে তুমি।
আর সেখানেই তুমি সত্যিকারের মুক্তি পাবে।
এই কিতাবের কথাতেই আছে শান্তি,
এই কিতাবের কথাতেই আছে প্রজ্ঞা।

যদি নবীর কোনো শব্দ তুমি অনুসরণ করতে চাও—
তাহলে শুধু কুরআনের কথাগুলোই শুনো।
তাঁর যেকোনো উপদেশ ছিল কুরআন রচনা থেকে—
তাঁর আত্মায় কুরআন বয়ে চলেছে।

আজ আমরা ভুল পথে চলছি,
কিছু মিথ্যা হাদিসের বর্ণনায় বিভ্রান্ত হচ্ছি,
কুরআনের খোঁজ আমরা হারিয়েছি—
আমরা যা শিখি, যা শুনি, সেটি ভুল হতে পারে,
কিন্তু  আল্লাহর কিতাবে কোন ভুল নেই।

বন্ধুগণ,
সঠিক পথে চলো,
আমরা নবীর অনুসরণ করব,
আমরা কুরআনের পথেই হেটে চলবো,
আমরা কুরআনের নির্দেশ মেনে চলব,
যেন সঠিক পথের দিকে একে একে যেতে পারি।

তাই, তুমি যদি চাও নবীর অনুসরণ করতে—
তাহলে কুরআনের দিকে তাকাও,
তার শব্দের ভিতর তুমি সেই পথ পাবে,
এবং আল্লাহ তোমার পথপ্রদর্শক হবেন।
যতদূর কুরআন তুমি অনুসরণ করবে,
ততদূর তুমি নবীর আশীর্বাদ পাবে।

“তুমিই পথভ্রষ্ট হলে,
তুমি আর কোনো কিছু খুঁজে পাবে না।
তবে কুরআনের পথেই তুমি সত্যি পাবে।”

বন্ধুগণ!
এই পৃথিবীতে কোনো পথভ্রষ্টতা নেই,
যতক্ষণ তুমি কুরআনের আলোকিত থাকবে,
এটি তোমার হৃদয়ে পূর্ণ আস্থা এনে দেবে,
এটি তোমার পায়ের চিহ্নে প্রতিফলিত হবে,
এটি তোমাকে ভুল পথ থেকে দুরে সরিয়ে আলোর পথে নিয়ে যাবে।

আল কুরআন!
তুমি আমাদের পথ দেখাও,
তুমি আমাদের শান্তি দাও,
তুমি আমাদের সমাধান,
তুমি আমাদের আলো,
তুমি আমাদের ধর্ম।
আমরা শুধু তোমার পথেই যাব,
আর অন্য কোনো পথে যাব না।

আমরা নবীর পথে চলব—
কারণ নবী ছিলেন কুরআনের জীবন্ত উপমা।
আমরা নবীর পথেই চলব—
কারণ নবী ছিলো কুরআনের সঙ্গী।
আমরা নবীর পথে চলব—
কারণ নবী ছিলেন আল্লাহর কিতাবের একজন বিশুদ্ধ অনুসারী।

বন্ধুগণ!
তুমি যদি কুরআনকে আলিঙ্গন করো,
তবে তুমি সত্যিকারের অনুসারী হবে।
তুমি নবীর সেই পথ অনুসরণ করবে—
যে পথ ছিল কেবল কুরআন।
যখন আল্লাহর বাণী তোমার কানে বেজে উঠবে,
তুমি জানবে তুমি সঠিক পথে আছো,
এবং নবীর সেই সঠিক পথেই তুমি এগিয়ে যাবে।
আমি আছি কুরআনের এই পথে,
তুমিও কি কুরআনের সাথি হবে?
যদি হতে চাও কমেন্টে তোমার পদচিহ্ন রেখে যাও। ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments