Subscribe Us

সুন্নিদের ১১০ টি বিশ্বাস ও আক্বীদাহসমূহ!!

 


সুন্নিদের ১১০ টি বিশ্বাস ও আক্বীদাহসমূহ!!

আমাদের দেশের অনেক মুসলিমের মনেই ভুল ধারণা যে, সুন্নি মাযহাব মানে কুরআনের একমাত্র অনুসারী দল। অনেকেই তাদের ইমাম, মাযহাব, দরবার ও খানকাহর তসবিহকে ইসলামেরই অঙ্গ বলে কল্পনা করেন। শিয়া-সুন্নি বিতর্ক হলে তারা মুখে ফেনা তুলে বলে — “আমরাই তো আহলে সুন্নাহ!”
তারা প্রশ্ন করে — কুর’আন-হাদিসে কোথায় চার মাযহাবের উল্লেখ আছে? চার ইমামের অন্ধ অনুসরণের কথা কোথায়?

মানলাম কুর’আন-হাদিসে এদের উল্লেখ নেই। তাহলে হিন্দুদের মতো ভাগবতের কথাও সত্য হয়ে যাবে? ‘উলামারা কি এই চার মাযহাব ও তাদের ভক্তদের আকীদার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি?

আসুন দেখি — সুন্নিদের আকীদা ও বিশ্বাস থেকে ১১০ টি কারণ, যা থেকে প্রমাণ হবে তাদের ভিতরও কত কুফর, শিরক, বিদ‘আত ও পৌত্তলিকতা ঢুকে পড়েছে।

(এখন আমরা এই ১১০টি কারণকে ৫টি বিভাগে ভাগ করলাম)

ক) সাধারণ বিষয়সমূহ

খ) আল্লাহ

গ) কুর’আন

ঘ) নবী-রাসূল ও সাহাবাগণ

ঙ) ওলী-পীর-দরবার-ফতওয়া

🌑 সুন্নিদের ১১০টি বিশ্বাস ও আকিদা

(ক) সাধারণ বিষয়সমূহ

১। হাদিসের চেয়ে ইমামের ফতোয়া বড়।
📚 “যদি সহীহ হাদিসের বিরোধিতা হয়, তবুও আমাদের ইমামের কথা মানো।”
— (হাশিয়ায় দারমি আলা শরহে মুলতাকা ১/১৩৯)

২। তাকলীদ না করলে নাজাত নেই।
📚 “তাকলীদ ছাড়া কোনো ইমান নেই, তাকলীদই নাজাতের রাস্তা।”
— (ফাতওয়া শামী ১/৩০৩)

৩। মাযহাবের বাইরে গেলেই মুরতাদ।
📚 “চার মাযহাবের বাইরে মত নিলে সে ফাসেক, তার পশু জবাই খাওয়া যাবে না।”
— (ফাতওয়া শামী ১/৩০৫)

৪। মাযহাবের ইমামদের ভুলও মানতে হবে।
📚 “যদি কোরআন ও হাদিসের খিলাফও হয়, তবুও ইমামের ভুল ফতোয়া মানা ফরজ।”
— (তাবয়িনুল হাকায়েক ১/৩৪১)

৫। ফাতিহা দেয়া দ্বীনের অংশ।
📚 “মৃতদের জন্য ফাতিহা পাঠ জরুরি। ফাতিহা না দিলে গোনাহ হবে।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/২৪৩)

৬। পীরের কবরকে তাওয়াফ করা।
📚 “পীরের কবর তাওয়াফ করা বিদআত নয়, বরং বরকত।”
— (হাশিয়ায় তাবায়ীনুল হাকায়েক ১/৯০)

৭। পীরের সামনে সিজদা করা।
📚 “সম্মানের জন্য সিজদা করলে কুফর হবে না।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৫)

৮। কুলখানি, উরস করা ওয়াজিব।
📚 “মৃতের জন্য চেহলাম, কুলখানি করা সুন্নত থেকে এসেছে।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৭৮৪)

৯। পীরের স্পর্শে মাগফিরাত
📚 “পীরের হাত ধরলেই পাপ ক্ষমা হয়ে যায়।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৫)

১০। মানত করা কবরের নামে
📚 “ওলি-পীরের কবরের নামে মানত করা জায়েজ।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

(খ) আল্লাহ

১১। আল্লাহর দরকার সুপারিশ।
📚 “আল্লাহ পীরের সুপারিশ ছাড়া বান্দাকে মাফ করেন না।”
— (দাওরাহে হাদিস দারুল উলুম দেওবন্দ, তাকরিরাত)

১২। ওলি আল্লাহর গজবও ফিরিয়ে দেয়।
📚 “ওলি চাইলে আল্লাহর গজবও ফিরিয়ে দেয়।”
— (ইয়াওমুন নাজর ফিল হিন্দ, পৃ: ২৯)

১৩। আল্লাহর নূর ওলিদের মধ্যেও ভাগ হয়।
📚 “ওলিদের মাঝে আল্লাহর নূর এমনভাবে ভাগ হয় যে, ওলিদের দিকে তাকালেই গোনাহ মাফ।”
— (মিশকাতুল মসাবিহ ২/৫৪৮, দেওবন্দি হাশিয়া)

(গ) কুরআন

১৪। কুরআন বুঝতে হলে ইমামের ব্যাখ্যা দরকার
📚 “কুরআন কেউ সরাসরি বুঝতে পারবে না, মাযহাবের ইমামের ব্যাখ্যা ছাড়া কুরআন বোঝা হালাল নয়।”
— (ফাতওয়া শামী ১/৩০৩)

১৫। ইমাম যদি কুরআনের ব্যাখ্যার বিপরীতে ফতোয়া দেন, সেটাই মানতে হবে
📚 “কুরআনের আয়াতের স্পষ্ট অর্থ ছেড়ে ইমামের কিয়াসকেই গ্রহণ কর।”
— (তাবয়িনুল হাকায়েক ১/৩৪১)

১৬। তাফসির কেবল ওলিদের ব্যাখ্যা দিয়ে হবে
📚 “ওলিদের তাফসির ছাড়া কোরআনের অর্থ বোঝা যাবে না।”
— (ইয়াওমুন নাজর, দেওবন্দি কিতাব)

(ঘ) নবী ও সাহাবাগণ

১৭। রাসুলের চেয়ে ওলির জ্ঞান বেশি
📚 “পীরদের কাছে এমনও জ্ঞান থাকে যা নবীদের কাছেও ছিল না।”
— (ফাতওয়া আলমগিরি ১/৩৫৬)

১৮। সাহাবীদের বিরুদ্ধাচরণ
📚 “সাহাবীরা অনেক ক্ষেত্রে ভুল করেছেন, তাই তাবেয়ীনদের ফতোয়া সাহাবীর থেকে প্রাধান্য পাবে।”
— (তাবয়িনুল হাকায়েক ১/৩৯০)

১৯। ওলির কুদরত সাহাবীদের চেয়েও বেশি
📚 “কবরের ভিতর ওলি চাইলে মৃতকে জীবিত করে আনতে পারে।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৭)

(ঙ) ওলি-পীর-দরবার-ফতওয়া

২০। কবরকে ডেকে শিরক নয়।
📚 “কবরের ভেতরে যাকে ডাকছে তাকে সরাসরি ডাকা শিরক নয়।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

২১। পীরের কবর থেকে ‘মাদাদ’ চাওয়া।
📚 “ওলির কবর থেকে মাদাদ চাইতে পারবে। কারণ ওলি কিয়ামত পর্যন্ত কবর থেকে নেগাহবানি করে।”
— (হাশিয়ায় তাবয়িনুল হাকায়েক ১/৯৫)

২২। পীরের কাপড় থেকে বরকত নেয়া।
📚 “পীরের পরা কাপড় নিলে রোগ সারে, সন্তান জন্ম নেয়।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৫)

২৩। পীরদের জন্য গাছ বাঁধা, দাগ কাটা।
📚 “গাছ বেঁধে মানত করা বিদআত নয়।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

২৪। ওলির হুকুম আল্লাহর হুকুমের সমতুল্য।
📚 “ওলির ফয়সালা আল্লাহর ফয়সালার মতোই মানতে হবে।”
— (ফাতওয়া শামী ১/৩০৪)

২৫। কিয়ামতের দিন পীর উম্মতের হিসাব নেবে।
📚 “পীরের হাতে হবে হিসাবের পাল্লা।”
— (দেওবন্দি তাকরিরাত)

২৬। পীরের হাত ধরে বায়াত না করলে ইমান নেই।
📚 “যে পীরের হাতে বায়াত নেবে না, তার ইমান পূর্ণ নয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/২৪৪)

২৭। পীরের মাজারে শিরনি দিলে গোনাহ মাফ।
📚 “মাজারে শিরনি দিলে পাপের কাফফারা হয়।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৬)

২৮। পীরের নির্দেশ অমান্য করলে নাজাত নেই।
📚 “পীর যা বলবে, সেটা কুরআনের বিপরীত হলেও মানতে হবে।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৫)

২৯। দোয়া কেবল কবরের কাছে গিয়ে কবুল হয়।
📚 “ওলির কবরের কাছে গিয়ে দোয়া করলে তাড়াতাড়ি কবুল হয়।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৫)

৩০। কবরের মাটিও শেফা।
📚 “ওলির কবরের মাটি খেলে রোগ সারে।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

৩১। মাজারে প্রদীপ জ্বালানো ইবাদত।
📚 “মাজারে প্রদীপ জ্বালানো সওয়াবের কাজ।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৮)

৩২। পীর গোপন গোনাহও ক্ষমা করিয়ে দেন।
📚 “পীর তার মুরিদের গোপন পাপ ক্ষমা করিয়ে দেন আল্লাহর কাছে।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৬)

৩৩। মাজারে পশু জবাই করলে কোরবানি সঠিক হয়।
📚 “ওলির নামে মাজারে পশু জবাই করা হারাম নয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৩৪। কিয়ামতের দিন পীর উম্মতের হয়ে সুপারিশ করবেন।
📚 “কিয়ামতের দিনে পীর তার সব মুরিদদের সুপারিশ করবেন।”
— (দেওবন্দি তাকরির, মজমুয়া)

**৩৫। ওলির কাছে মনের আশা বলা”।
📚 “মাজারে গিয়ে ওলির কাছে মনের আশা বললে তা পূরণ হয়।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৭)

৩৬। ওলির গায়ে মাটি লাগিয়ে বাড়ি নিয়ে গেলে বরকত হয়।
📚 “ওলির গায়ে হাত দিয়ে সেই মাটি বাড়িতে নিয়ে গেলে অসুখ দূর হয়।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৬)

৩৭। দরবারের টাকা দিলে রিজিক বাড়ে।
📚 “মাজারে দান করলে আল্লাহ রিজিক বাড়িয়ে দেন।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৭)


🕌 ওলিদের গুণ ও ক্ষমতা।
৩৮। পীরের ইশারায় মেঘ আসে, বৃষ্টি নামে

📚 “আমাদের বড় পীরের আঙুল তুললে বৃষ্টি নামে, আর নামালে বন্ধ হয়।”
— (ফয়জুল কাদীর, দেওবন্দি ওয়াজ, হুজুর কেবলার সেমিনার)

৩৯। ওলিরা দুনিয়ায় যত ঘটনা ঘটে সব জানে।
📚 “আল্লাহ তাদেরকে সব কিছুর খবর দেন।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৫)

৪০। ওলিরা কিয়ামতের দিন সবাইকে চিনবেন।
📚 “তাদের নজর থেকে কেউ গোপন নয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৪১। ওলিরা মুরিদদের জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি দেন।
📚 “পীর কিয়ামতের দিন মুরিদদের হাত ধরে জান্নাতে নেবেন।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

৪২। ওলিরা নবীদের থেকেও বড় হতে পারেন।
📚 “কিছু পীরের মর্যাদা অনেক নাবীর থেকেও বড়।”
— (মিশকাতুল মাসাবীহ ২/৫৮৫, দেওবন্দি ব্যাখ্যা)

৪৩। ওলিদের ইলমে গায়েব আছে (অদৃশ্য জ্ঞান)।
📚 “পীর সাহেব জানেন কে জান্নাতে যাবে কে জাহান্নামে।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

৪৪। পীর চাইলেই গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
📚 “তাদের কাছে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দেন।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৭)

৪৫। পীরের কবরের ধুলোও শেফা।
📚 “মাজারের ধুলো গায়ে লাগালে রোগ সারে।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৪৬। মাজারে টাকা দিলে সব বিপদ দূর হয়।
📚 “মাজারে মানত করলে কঠিন বিপদ কেটে যায়।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

৪৭। মাজারে গিয়ে ওলির কাছে মনোবাসনা বললে তাড়াতাড়ি পূরণ হয়।
📚 “কারণ ওলি আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করেন।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৬)

৪৮। আল্লাহ ওলিদের হাতে ক্ষমতা দেন।
📚 “ওলিরা চাইলে ভাগ্য বদলাতে পারে।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৪৯। কিয়ামতের দিন পীরের দয়া না পেলে কেউ রক্ষা পাবে না।
📚 “মুরিদের জন্য জান্নাত পীরের সুপারিশেই হবে।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৯)


🌙 বিশেষ শিরকি বিশ্বাস।

৫০। আল্লাহ ওলিদের ইচ্ছায় কাজ করেন।
📚 “ওলিদের সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৮১)

৫১। ওলিরা কবরেও জীবিত থেকে সব শুনেন।
📚 “তারা কবরে শুয়ে শুয়ে সব কণ্ঠ শুনেন, সব দোয়া শোনেন।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৫২। পীরের কবরের কাছে দোয়া করলে দ্রুত কবুল হয়।
📚 “মাজারের পাশে দোয়া করা খুবই ফজিলতের কাজ।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৫)

৫৩। পীরের গায়ে হাত রাখলে রোগ-শোক কেটে যায়।
📚 “ওলির গায়ে হাত দিয়ে তার আবরু বাড়ানো বরকত।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৬)

৫৪। ওলিদের নামে মানত করে জবাই করা বৈধ।
📚 “পীরের নামে ছাগল গরু জবাই করা হারাম নয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৫৫। পীরকে নবীর সমতুল্য বলা যায়।
📚 “কিছু পীর নবীর সমতুল্য ফজিলতের অধিকারী।”
— (মিশকাতুল মাসাবীহ, দেওবন্দি ব্যাখ্যা)

৫৬। মাজারে শিন্নি (মিষ্টি-ভোগ) দিলে সব সমস্যা দূর হয়।
📚 “মাজারে শিন্নি দিলে বিপদে থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৮)

৫৭। পীরের দাওয়াত না মানলে দুনিয়াতেও শাস্তি হয়।
📚 “পীরের কথা অমান্য করলে তার বদদোয়া কাজে লাগে।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৮২)

৫৮। মুরিদ পীরের প্রতি এমন আনুগত্য করবে যেন আল্লাহর প্রতি।
📚 “পীরের আদেশে নাফরমানি করা হারাম।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৭)

৫৯। ওলিরা চাইলে মৃতকে জীবিত করতে পারেন।
📚 “ওলিদের মুজিযায় মৃত জীবিত হয়।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৮)

৬০। পীরের পানি খেলে রোগ সারবে।
📚 “পীরের দেয়া পানি খেলে জ্বর সেরে যায়।”
— (ইহইয়া উলুমিদ্দীন ৪/৯৭)

৬১। পীরের দেয়া তাবিজ সব রোগের জন্য কাজ করে।
📚 “তাদের লিখে দেয়া তাবিজে দারুণ প্রভাব।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৮)

৬২। পীরের ছবি ঘরে রাখলে অমঙ্গল হবে না।
📚 “পীরের ছবি রাখা গুনাহ নয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

🧿 গুরুতর শিরক ও বিদআত।

৬৩। পীর জীবনে না থাকলেও কবর থেকে তদারকি করেন।
📚 “ওলি মারা গিয়েও তার মুরিদদের তদারকি করেন।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৫)

৬৪। পীরের গোনাহ-সওয়াব আলাদা নিয়মে চলে।
📚 “ওলিদের জন্য আলাদা ফজিলত ও আলাদা হিসাব।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

৬৫। ওলিরা জান্নাত-জাহান্নামের চাবি হাতে রাখেন।
📚 “পীরের হাতেই জান্নাতের চাবি।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৮১)

৬৬। পীর চাইলে কাউকে জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠাতে পারেন।
📚 “পীর সুপারিশ করলে আল্লাহ তার কথা রাখেন।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৬৭। পীরের মাজার তাওয়াফ করলে পাপ মাফ হয়।
📚 “মাজার ঘুরে আসলে জীবনের সব গোনাহ মাফ।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

৬৮। পীর না থাকলে ইসলাম পরিপূর্ণ নয়।
📚 “ওলিদের হাত ধরে তরিকত না শিখলে দ্বীন পূর্ণ হয় না।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৭)

৬৯। ওলিরা মানুষকে ভাগ্য দেন।
📚 “ওলি চাইলে ভাগ্য বদলে দিতে পারেন।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৭০। পীরের কাছে নাম লিখিয়ে মুরিদ না হলে জান্নাত মেলেনা।
📚 “পীরের মুরিদ না হলে হাশরে মুখ কালো হবে।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৯)

৭১। কবরের মাটি গায়ে মেখে পাপ ধুয়ে যায়।
📚 “ওলির মাজারের মাটি শরীরে মাখলে গোনাহ দূর হয়।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৬)

৭২। মাজারের নিশান ভাঙা হারাম।
📚 “মাজারের গম্বুজ ভাঙলে কাফির হয়ে যাবে।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৭৩। মাজারে চাদর চড়ানো ইবাদত।
📚 “মাজারে চাদর দেওয়া খুবই সওয়াবের কাজ।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

৭৪। পীরের তাবিজ শরিয়তের চেয়ে বড় ওলামা অনুমোদিত।
📚 “পীরের লিখে দেয়া তাবিজ কোরআনের আয়াতের চেয়েও কার্যকর।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৮)


🌪️ উগ্র শিরকি ও গুলতি তাসাউফ

৭৫। পীরের নেক নজর ছাড়া তওবা কবুল হয় না।
📚 “পীর ছাড়া তওবা করলে কবুল হয় না।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৮১)

৭৬। পীর চাইলে আসমান থেকে বৃষ্টি নামান।
📚 “ওলির দোয়ায় মেঘে পানি হয়, চাষ হয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৭৭। পীর চাইলে সন্তানের ভাগ্য ঠিক করে দেন।
📚 “পীর সাহেব দোয়া করলে সন্তান হবে।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

৭৮। পীরের তসবীহ আলাদা বরকতের উৎস।
📚 “পীরের তসবীহ ব্যবহার করলে দ্রুত রোগ সারে।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৬)

৭৯। পীর চাইলে শত্রু মরে যায়।
📚 “ওলির বদদোয়া হলে শত্রু মারা যায়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৮০। পীরের মৃত্যু হলে জান্নাতের দরজা খোলে।
📚 “ওলির মৃত্যুতে জান্নাত সাজানো হয়।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৮)

৮১। পীরের মৃত্যু দিনে মেলা বসানো ইবাদত।
📚 “ওরস করা সুন্নত।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৫)

৮২। মাজারের নিশান টিকিয়ে রাখার জন্য জীবনও দেওয়া যায়।
📚 “মাজার রক্ষা করা ফরজের চেয়ে বড়।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৮০)

৮৩। মাজারে গোলাপজল, আতর ছড়ানো সওয়াবের কাজ।
📚 “মাজারে আতর দিলে গোনাহ মাফ হয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৮৪। পীরের চেহারায় তাকালে গোনাহ দূর হয়।
📚 “ওলির মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৭)

৮৫। পীরের নামে মান্নত করলে তার বদলা নিশ্চিত পাওয়া যায়।
📚 “পীরের নামে মান্নত করলে যা চাইবে তাই হবে।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৮)

🌙 মাজার কেন্দ্রিক নতুন ধর্ম

৮৬। মাজারের গম্বুজে ফাতিহা পড়লে বড় পাপও মাফ হয়।
📚 “মাজারের গম্বুজে গিয়ে ফাতিহা পড়লে জীবনের গোনাহ মাফ।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৮৭। পীরের রেশমি চাদর স্পর্শ করলে পুণ্য হয়।
📚 “মাজারের চাদর ধরলে গোনাহ ধুয়ে যায়।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৬)

৮৮। পীরের তাবিজ, পানি, চিনি না খেলে বিপদ বাড়ে।
📚 “পীরের দেয়া তাবিজ না নিলে বিপদে পড়বে।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৬)

৮৯। পীরের নামে ভক্তগণ প্রতিবার হাদিয়া দিতে বাধ্য।
📚 “পীরের মুরিদ বছরে বছরে নজর দিতে হবে।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

৯০। পীরের দরবারে হাঁটু গেড়ে বসা ফরজের চেয়ে বড় কাজ।
📚 “পীরের দরবারে বসা হজের থেকেও ফজিলতপূর্ণ।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৯)

৯১। মাজারের পাশে ঘুমানো ইবাদত।
📚 “মাজারের ধারে রাত কাটালে জান্নাতের কবর হবে।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

৯২। মাজারের মাটি চুরি করে ঘরে রাখা তাবারুক।
📚 “মাজারের মাটি ঘরে রাখলে জ্বিন-ভূতের ভয় থাকে না।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৭)

৯৩। পীরের বংশধরেরা যত বড় গুনাহ করুক তারা আলাদা মর্যাদার অধিকারী।
📚 “সাইয়েদদের গোনাহও গোনাহ নয়।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৮২)

৯৪। ওরসের দিন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
📚 “ওরসের রাতে সব পাপ মাফ হয়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

৯৫। মাজারে নারীরা গিয়ে ওলির কাছে সন্তান প্রার্থনা করলে সন্তানের বয়স বেশি হয়।
📚 “মাজারে মান্নত করলে ছেলে হবে আর আয়ু দীর্ঘ।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

৯৬। মাজারে বাজনা বাজানো হারাম নয় বরং নেক কাজ
📚 “ওরসে নাচ-গান হারাম নয়, পীর খুশি হন।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৮)

৯৭। মাজারে মোম জ্বালানো ইবাদত।
📚 “মাজারে মোম জ্বেলে দিলে বড় সওয়াব।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৬)

৯৮। মাজার থেকে মাটি এনে ফ্রিজে রাখলে তাতেও বরকত হয়।
📚 “মাজারের মাটি ফ্রিজে রাখলে খাবার নষ্ট হবে না।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)


⚡ চূড়ান্ত শিরকি ধরণ

৯৯। পীরের মাজারে সিজদা করা ইবাদত
📚 “ওলির মাজারে সিজদা করলে গোনাহ মাফ।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

১০০। পীরের জন্য জবাই করা পশু আল্লাহর জন্য জবাইয়ের চেয়ে উত্তম
📚 “পীরের নামে জবাই করলে দোয়া কবুল হয়।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৬)

১০১। মাজারে নারীদের নাচ-গান হলে ওলি খুশি হন
📚 “ওরসের সময় নৃত্য করলে পীর সন্তুষ্ট।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

১০২। পীরের বংশের দুধ খেলে মন নরম হয়।
📚 “সাইয়েদদের স্তন্যপান করলে হৃদয় নরম হয়।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৭)

১০৩। পীরের চুল রাখা তাবারুক।
📚 “ওলির চুল রাখলে বিপদ আসবে না।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৭)

১০৪। পীরের পোশাক চুরি করে রাখলেও বরকত হয়।
📚 “ওলির পোশাক চুরি করেও তাবারুক নেয়া যায়।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

১০৫। পীরকে মাঝরাতে ডাকলে ঘুম থেকে উঠে কথা বলেন।
📚 “মাজারে গিয়ে ডাকলে পীর সাড়া দেন।”
— (ফাতওয়া শামী ২/৩৭৯)

১০৬। মাজারের মাটির পানি খেলে বন্ধ্যা নারী সন্তান জন্ম দেয়।
📚 “মাজারের পানি খেলে বন্ধ্যা মা হয়।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৯)

১০৭। পীরদের নামে চিৎকার করে গান গাওয়া ইবাদত।
📚 “পীরের গুণে গুণগান করা সওয়াব।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৯)

১০৮। পীরের মাজারকে কাবার সমান সম্মান দিতে হবে।
📚 “মাজারকে কাবার মতো সম্মান কর।”
— (ফাতওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৭)

১০৯। পীর চাইলে মৃত্যু অবধি দুনিয়ার ভোগ বিলাস দিতে পারেন।
📚 “পীরের দোয়ায় দুনিয়ার রাজত্ব মেলে।”
— (ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৭৮)

১১০। পীর না মানলে ঈমানই নেই।
📚 “পীরের তরিকায় না আসলে তার ঈমানই নেই।”
— (রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৮)

Post a Comment

0 Comments