শুধুই কুরআন — অন্য কিছু নয়
জ্বলে উঠুক আলোর শিখা, ছিন্ন হোক অন্ধতার বাঁধ,
চূর্ণ হোক মিথ্যা যত, গুঁড়িয়ে যাক মিথ্যার সাধ।
হৃদয়ে বাজুক সে, যে রবে অনন্ত, সেই একটিই মহান বাণী—
কোনো গল্প গাঁথা নয়, কোনো গুজবের কিতাব নয়,
তা শুধুই কুরআন! শুধুই কুরআন!
কে বলে—শায়েখের কথা মানো, হাদিসে খুঁজো নাজাতের দিশা?
আমি শুনি আসমান থেকে নেমে আসা
সত্যের বজ্র ঘোষনা।
“হিদায়াতের কিতাব আমি পাঠিয়েছি তোমাদের জন্য, তা কুরআন ছাড়া আর কিছু নয়।”
কে দিলো সাহস এই কথা বলার,
যে কুরআন যথেষ্ট নয়?
কে দিলো অনুমতি নবীর মুখে,
আল্লাহর বাণীর বাইরে কিছু বলার?
সেই নবী তো বলেছিলেন,
“আমি রেখে যাচ্ছি তোমাদের জন্য কুরআন,
যদি তা ধরো, পথ হারাবে না কখনোই।”
এমনকি নবী মৃত্যুর সময় অছিয়ত করে গেলেন শুধু কুরআন মেনে চল। এটা কী থাকবে তবে শুধু স্মৃতির পাতায়?
আমি দাঁড়িয়ে আছি কুরআনের পক্ষে,
না কোনো ফিরকা, না কোনো শায়েখ,
না কোনো হাদিসের জাল দলিল,
না কোনো সিলসিলার রহস্যময় পথ।
হে অন্ধ অনুসারী,
তুমি খুঁজো যারে কবরে, মাজারে, পীরের দরবারে, শায়েখের হাদিসে, ইমামের ফেকায়—
আমি খুজে পাই তাকে কুরআনের পাতায়।
যিনি বলেছেন, এই কিতাব আল্লাহর বানী, এই কিতাব পরিপুর্ণ”।
জ্বালাও আগুন, পুড়িয়ে দাও সেই সব মানব রচিত কিতাব —
যা কুরআনের বিপরীতে দাঁড়ায়,
ভেঙে ফেলো মিথ্যার মিনার,
নামাও সব ভুয়া “শুপারিশকারীদের” যারা
আল্লাহর কিতাব ব্যাতিরেকে মন্চে গলা ফাটায়।
শুপারিশ করবে কুরআনই,
যাকে তুমি দূরে ঠেলে দিয়েছ, অপুর্ণ বলে বর্জন করেছ, না বুঝার দোহাই পাঠ করা ছেড়ে দিয়েছ।
ধুলায় ফেলে দিয়ে আজ কাঁদাচ্ছ তাকেই,
যে ছিলো আলোর দিশারি!
আরো কত মিথ্যা বাঁধবে চারপাশে?
আরো কত ছায়া নামাবে সত্যের আকাশে?
কুরআনের বাইরে অন্য কিছু মানা নিষেধ,
তা তো বলেছেন তিনি—
সেই মহান রব, যাঁর কথা কাঁপায় পাহাড়,
ভেঙে দেয় ঘৃণার প্রাচীর।
তবু কেন কাঁধে বোঝা নিয়ে ঘুরছ— মিথ্যা হাদিসের,
তবু কেন চোখে পর্দা টেনে রেখেছ—শায়েখের কল্পনার ফতোয়া দিয়ে?
এ কেমন দ্বীন, ধর্ম মেনে চলছ, যেখানে নেই কুরআনের রাজত্ব?
আমি লিখছিনা কোন প্রেমগাথা,
আমি গাইছিনা কোন শ্রদ্ধার স্তুতি,
আমি ঘোষণা করছি বজ্রকণ্ঠে—
কুরআনই একমাত্র সত্য কিতাব,
বাকি সবকিছুতে আছে মিথ্যার মিশ্রন, আছে শিরক, আছে বিভ্রান্তি, ও শত্রুতা।
ওহে ভণ্ড উম্মত, শোনো কর্ণপাত করো—
তোমার নবী কখনো বলেননি,
“আমার পরে পীর ধরো শায়েখের পিছে ঘোরো”
বা “হাদিসের দলিল ধরো।”
তিনি বলেছিলেন আমার পথে চলো। আমার অনুস্বরণ কর।
নবীর পথ ছিলো কুরআনের পথ, তিনি ছিলেন কুরআনের অনুসারী, তার চরীত্র ছিলো কুরআন।
তুমি আজ তার বিপরীতে দাড়িয়ে আছ!
কোন মুখে বলো—“মুহাম্মদ আমাদের আদর্শ”?
যখন তাঁর আদর্শকে মাড়িয়ে চলছ,
একঝাঁক হাদিসের অন্ধ খণ্ড দিয়ে?
হে আমার ভাই, জেগে ওঠো—
যে বাণী নিয়ে তোমার নবী যুদ্ধ করেছিলো,
তুমি কেন করছো তার বিরুদ্ধেই আপোষ?
তোমার মুক্তি কোথাও নেই—
কুরআন ব্যতীত কিছুই নয়।
সেই কিতাবই বলেছে বারবার—
“এই হলো স্পষ্ট আলো,
এই হলো হিদায়াত, এই আমার রহমত।”
তবু তুমি অন্য বটবৃক্ষের ছায়া খোঁজো?
তবে শোনো, কেয়ামতের দিন
কুরআনই হবে সাক্ষী—
তোমার বিপক্ষে!
তখন কেউ আসবে না শায়েখের গেরুয়া জোব্বা পরে,
কেউ টানবে না হাদিসের পাণ্ডুলিপি হাতে নিয়ে,
সেদিন কুরআন বলবে:
“এই বান্দা আমাকে ত্যাগ করেছিলো!”
সেই জবানবন্দি শুনে—
জ্বলে উঠবে জাহান্নামের আগুন,
নির্মম হবে ফয়সালা।
তাই আজ—এই মুহূর্তে, আমি দাঁড়ালাম কুরআনের পক্ষে,
বাজিয়ে দিলাম যুদ্ধের শিঙ্গা—
অন্ধতা, কুসংস্কার, জাল দলিল, মিথ্যা হাদিস, পীরতন্ত্র, শায়েখতন্ত্র, সবই আমার শত্রু।
তুমি আসবে?
তুমি গাইবে সেই জয়গান?
যেখানে থাকবে শুধু একটিই নাম—
কুরআন! কুরআন! শুধুই কুরআন!
আমি কুরআনের সঙ্গী, তুমিও কি কুরআনের সঙ্গী হবে? তাহলে কুরআন ধর।
ভিডিওটি ভালো লাগলে ভালো লাগার চিন্ন রেখে যেও, অর্থাত কমেন্ট করে জানিও। আর শেয়ার করা তোমার দায়ীত্ব। চ্যানেলটি সাব্স্ক্রাইব করে ফ্রেন্ডস অফ কুরআনের সাথে থাক।
তাহলে আজ এখন আসি , সাক্ষাত হবে অন্য কোন ভিডিওতে। সালামুন আলাইকুম।
0 Comments