Subscribe Us

ওহে সুন্নী হুজুর! এবার শুন তোমার সেই ‘সহীহ আকিদার’ নগ্নতা। মাহাতাআ আকন্দ

 


ওহে সুন্নী হুজুর! এবার শুন তোমার সেই ‘সহীহ আকিদার’ নগ্নতা


আমি মাহাতাব আকন্দ চুপ থাকতে পারলামনা। আমরা কুরআনের সঙ্গী চুপ থাকার পাত্র নই। তুমি মাইক বন্ধ করে দিলেও আমাদের আওয়াজকে থামাতে পারবেনা। তুমি সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে পারবেনা। তুমি আগুনকে রুমালচাপা দিয়ে থামাতে পারবেনা।
শীয়াদের  আকিদা খারাপ, তাদের দোষ নিয়ে তুমি চেঁচিয়ে বেরাচ্ছ, শিয়াদের আকিদা ভালো, আমি তা বলিনা। কিন্তু তোমার সুন্নী আকিদা? তোমার আকিদাতো তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে!”

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
সুন্নী দেওয়ানবাগী পীরকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরো, যেন সে কোনো ফেরেশতার চেয়েও বড় কিছু। এই দেওয়ানবাগী তো বলে, সে নাকি কবরে সওয়ালকারি মুনকার-নাকীরের পরামর্শদাতা, তার অনুমতি ছাড়া তারা কাউকে প্রশ্ন করবে না! সে নাকি ফাতেমা (রাঃ)-কে বিয়েও করে ফেলেছে! এ কথা শুনে তোমাদের মন ভরে ওঠে, হাত চেপে রাখো বুকের উপরে আর বলো — “সুবহানাল্লাহ, কি মুকাম!”
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
সিলেটের কোনো কোনো ‘সুন্নীপীর’ আর দরগার খাদিমদের কাছে যাও, যারা বলে — “আমাদের আধ্যাত্মিক চোখ আছে, আমরা জান্নাতের বাগান দেখি।” আর সেই পীরের মাজারে গিয়ে বলো — “হুজুরের মাজারে লতাপাতা থেকে নূর বের হয়, এগুলো নিয়ে মাথায় রাখলে রোগ সারবে।” শিয়ারা অন্তত কাঁদে হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য, তুমি তো জীবিত মানুষের মতো মরা পীরের গুণগান করো। এমনকি তার মাজারের গাছকেও অলৌকিক বানিয়ে বসেছো!
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
তোমাদের খুলনার কোনো সুন্নী দরগায় মুরিদরা বলে — “আমাদের পীর সাহেব স্বপ্নে গিয়েছেন বোরাকের পিঠে চড়ে সিদরাতুল মুনতাহায়, সেখানে আল্লাহর সাথে দেখা করে এসেছেন!” আর তুমি চুপ থেকে বলো, “মাশা’আল্লাহ! হুজুর কত বড় আওলিয়া!”

তুমি
বগুড়ার সুন্নী মাজারে যাও, যেখানে বলা হয় — “এই দরবার শরীফে গিয়ে পীরের মাজারে হাত রাখলেই সন্তান হবে, চাকরি হবে, কোরটের কেস মাফ হবে।” তুমি সেই মাজারে মানত করো, মোম জ্বালাও, গরু জবাই করো আর বলো — “পীরের খুশি মানেই আল্লাহর খুশি।
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!
” অথচ কুরআন বলছে, “তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ডাকো না।” (জিন ১৮)

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ
কুষ্টিয়ার এক বড় সুন্নী দরবারে শুনি — এক সুন্নীপীর সাহেব তার মুরিদদের বলে দেন, “তোমার ঘরে পানি নেই? বোতলে ফুঁ দিই, এই পানি খেলে তোমার বর্ষাকালেও ফসল মরবে না!” আর তুমি সেই পানি নিয়ে এসে গোটা পাড়াকে খাওয়াও। বলো তো হুজুর, রাসুল ﷺ কি কোনদিন বোতলে ফুঁ দিয়ে বলেছিলেন — “খাও, তোমার ফসলের অভাব থাকবে না?”

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
সুন্নী মিলাদ-মাহফিলে তোমার পীর-হুজুর আসে, তাকে গোলাপফুল ছিটিয়ে বরণ করো। তার গাড়ির জন্য মসজিদের ফান্ড থেকে তেল কিনে দাও, অথচ গরীব মুসলিমের জন্য একটা কম্বল দিতে রাজি নও। পীরের খুশির জন্য লাখ টাকা খরচ করো, আর বলো — “এই খরচের সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত যাবে।” এটাই কি রাসুলের উম্মতের দান?
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
তোমার কোনো সুন্নীপীরের দরগায় লেখা — “এই দরগাহে এসে মানত করলে সাত পুরুষ পর্যন্ত অভাব দূর হবে।” শিয়ারা কমপক্ষে তাদের ইমামদের জীবনী পড়ে কাঁদে, তুমি তো কবরের ওপর দাঁড়িয়ে দান-দক্ষিণা দিয়ে আল্লাহর সাথে সরাসরি শিরক করছো।

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
মাজারের খাদিমের কাছে বলো, “আমার বউ গর্ভবতী হচ্ছে না, হুজুরের কবরের পাশে এক রাত শুয়ে থাকলে সন্তান হবে কি না?” খাদিমও তৃপ্তি করে বলে — “ইনশা’আল্লাহ, হুজুর দয়া করলে এক বছরে কোলে আসবে।” তুমি কি জানো, সন্তান দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। পীরের মাজারে শুয়ে থেকে সন্তান চাওয়া তো সরাসরি আল্লাহর ক্ষমতায় ভাগ বসানো!
এটাইকি তোমার সহীহ আকিদার নমুনা?

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ
চট্টগ্রামের এক দরগায় শুনি — “সুন্নীপীর সাহেবের কাছে গেলে হাশরের দিন তোমার হাত ধরে টেনে জান্নাতে নিয়ে যাবে।”
বরিশালের জাহাজে উঠে নাকি তুমি জান্নাতে পারি জমাবে?
তোমার সুন্নী দুইপীর নাকি- দো ডানা পাকারকে তুমে বেহেস্তমে লে জায়গা কুই হরজ নেহী?
কুরআন বলছে“কেউ কারো বোঝা বহন করবে না।” (ফাতির ১৮) তোমার পীর কিভাবে তোমার পাপের বোঝা বয়ে জান্নাতে নিয়ে যাবে হুজুর?
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
শবে বরাতে রাতভর মিষ্টি বানাও, পীরের মাজারে নিয়ে যাও। তারপর ভাবো — “এই মিষ্টি হুজুর খেয়ে নেবেন, আমাদের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।” ওহে! হুজুর, কবরের মানুষ খায় কিভাবে? তাদের তো হাত নেই, মুখ নেই, পাকস্থলী নেই। কবরের মানুষ খাবে আর তোমার গুনাহ মাফ হবে — এই তোমার আকীদা?

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
তোমার কোনো সুন্নীপীর বলে — “আমার চোখে চোখ রাখো, তোমার দুনিয়ার কষ্ট আমি নিয়ে নেব।” আর তুমি শুনে শুনে বলো, “সুবহানাল্লাহ হুজুর কতো বড় আওলিয়া!” অথচ কোরআনে কি বলা হয়েছে? “ক্ষতি বা উপকার যা আছে, তা একমাত্র আল্লাহর হাতে।” (ইউনুস ১০৭)

তুমি
মৃত ব্যক্তির নামে মিলাদ করো, হাজার টাকার খানা দাও, ভাবো সেই মৃত লোকের আযাব মাফ হয়ে গেল। অথচ কুরআন তো বলছে, “মানুষ যা করবে, তার জন্য সে প্রতিফল পাবে।” (নাজম ৩৯) তুমি তার জন্য খানা দিয়ে কীভাবে আযাব সরাবে?

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ তুমি
তোমার কোনো সুন্নীপীর বলে — “আমার ওরসে না এলে কিয়ামতের দিন কবর থেকে ওঠতে পারবে না।” তুমি ভয়ে ভয়ে পীরের ওরসে হাজির হও, টাকা-পয়সা লুটিয়ে দাও। অথচ কিয়ামতের মাঠে কবর থেকে তুলবে একমাত্র আল্লাহ। তোমার পীর কি হাশরের সিঙ্গাল দেবে?
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!

ওহে সুন্নী হুজুর কি করে বল তোমার আকিদা সহীহ অথচ
তোমার পীরের মাজারে শিয়াল কুকুর আসে, সেই মাটি গায়ে মাখো, ভাবো — এতে নেকি হবে। শিয়ারা অন্তত কাঁদে, তুমি তো পশুর সাথে মাজারের মাটি ভাগ করছো।
তুমি-
দেওবন্দি হয়ে বেরলভিকে মুশরিক বলো, আবার তাবলীগিকে হঠকারী বলো, আর তাবলীগি হয়ে আহলে হাদিসকে গালি দাও। কোরআন তো বলছে, “তোমরা বিভক্ত হয়ো না।” (আলে ইমরান ১০৩) তুমি কি নবীর উম্মত, নাকি আলাদা আলাদা লেবেলের মুর্খ বাহিনী?
এই হলো তোমার সহীহ আকিদার নমুনা!

🥀 উপসংহার
ওহে সুন্নী হুজুর!
তুমি শীয়াদের কু-আকিদা নিয়ে মাতামাতি করো, অথচ তোমার ঘরে কবরের শিরক, পীরের গল্প, মাজারের ব্যবসা, মিষ্টির দান, তাবিজ-কবচে তাওহীদ ছিন্নভিন্ন।১

ফিরে এসো হুজুর, কোরআনের কাছে, এক আল্লাহর কাছে।
এটাই একমাত্র মুক্তি, আর সেই কুরআনই আসল সহীহ আকিদা।

Post a Comment

0 Comments