Subscribe Us

হে! মানুষ ফিরে এসো কুরআনের দিকে

 


হে মানুষ, ফিরো কুরআনের দিকে!"

(মাহাতাব আকন্দ)
হে মানুষ!
কতদিন আর থাকবে তুমি বিভ্রান্তির ধোঁয়ায়?
কতদিন আর শোনাবে সেই পুরোনো জাল গল্পের ছোঁয়ায়?
কতদিন বলবে— “কুরআন একা বুঝি না, হাদিস না নিলে হয় না”?
আর কতকাল ফাঁকি দেবে, নিজের রবকে?

আল্লাহ বলেন— “এই কিতাব যথেষ্ট”,
তুমি বলো— “না, হাদিসও চাই!”
আল্লাহ বলেন— “এই কুরআনে আছে সব বর্ণনা”,
তুমি খুঁজো, শায়েখের মুখে অলৌকিক মন্ত্র।

হে ধোঁকার উম্মত, শোনো আমার জ্বালাময় উচ্চারণ—
আমি বলি না “আমি বিদ্রোহী”,
আমি বলি— “আমি কুরআনের পক্ষে একজন সাক্ষী!”
যে বুকে কুরআনের আয়াত বাজে,
সে আর কারো মুখাপেক্ষী হয় না।

👉 হাদিস?—সে আবার কী?

কোথায় লিখে রেখেছে আল্লাহ—
হাদিস না ধরলে দীন অপূর্ণ?
কোথায় বলেছেন তিনি—
নবীর মুখের প্রতিটি কথা হবে শরিয়ত?

তুমি কি পড়োনি সূরা হাশরের আয়াত,
যেখানে আল্লাহ বলেন—
"যা তিনি (নবী) দেন, তা গ্রহণ করো"?
তুমি কি বোঝোনি—
সেই 'তিনি' কি নিজের পক্ষ থেকে দেন?
না কি তিনি দেন শুধু ওহি—আল্লাহর অনুমতিসম্পন্ন?

👉 নবী মানতেন কুরআন, হাদিস নয়
নবী নিজেই ছিলেন কুরআনের প্রথম অনুসারী,
তিনি চলতেন কুরআনের আলোয়,
কখনো বলেননি—“আমার পর আমার হাদিসগুলো ধরো”,
বরং বলেছেন—
"আমি রেখে যাচ্ছি কুরআন, যদি ধরো, পথ হারাবে না।"

তবু তুমি কিসের পিছে ছুটো?
একটি এমন দলিলের,
যে হাদিসের নামেই একে অপরকে হত্যা করো?

হাদিস নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ফিরকা,
শিয়া, সুন্নি, আহলে হাদিস, সুফি—
সবাই নিজের হাদিসে মুপ্তি খোঁজে,
কুরআন পড়ে না এক আয়াতও।

তুমি যে ধর্ম মানো,
সেই ধর্মের মূল উৎস কি হাদিস?
তবে বলো—
কুরআন কি তবে কেবল তিলাওয়াতের জন্য?
না, সে তো এক জীবন্ত আইন,
এক চিরন্তন গাইডলাইন,
সেই কুরআনই করবে শুপারিশ,
যাকে আজ তুমি মসজিদের তাকেই রেখেছো বন্দি!

👉 শোনো, আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি—
আমি সে দলের না
যারা হাদিস ছাড়া বাঁচে না!
আমি সে স্রোতের না
যারা শায়েখের অন্ধ অনুসারী!
আমি কুরআনপন্থী—
একমাত্র কুরআনই আমার পথপ্রদর্শক।

কুরআন বলে—
"তোমরা কুরআনের বাইরে কিছু মানো না।"
কুরআন বলে—
"এই কিতাবেই আছে সব কিছু বিশদভাবে।"

তুমি কি আল্লাহর কথা অস্বীকার করো?
তবে কে করলো আল্লাহর চেয়েও বেশি জানার দাবি?
কে সাহস করলো “হাদিস” নামে
আরেকটা ধর্ম দাঁড় করাতে?

হে কুরআন-বিমুখ জাতি!
তোমাদের নামাজ, রোজা, হজ—সবই এক আত্মা-বিহীন শরীর,
যখন সেই আত্মা, সেই চেতনা,
কুরআন-কে বানিয়ে ফেলেছো মৃত শব্দমালার গ্রন্থ!

👉 নবীর ওসিয়ত ভুলে গেছো?
শেষ বিদায়ের সময়—
নবী কি রেখে গিয়েছিলেন হাদিসের খণ্ড?
না!
তিনি বলেননি— “আমার কথাগুলো লিখো”
বরং বলেছিলেন— “এই কুরআন যথেষ্ট তোমাদের জন্য।”

তবু তুমি সাহাবার মুখে লেখা হাদিস ধরে করো যুদ্ধ,
তুমি বলো— “বুখারি ছাড়া দীন নেই!”
তুমি বলো— “শায়েখ ছাড়া পথ নেই!”
তুমি কি তবে নবীকে অমান্য করো?

👉 কেয়ামতের দিনে, কে করবে শুপারিশ?
তোমার বুখারি? তোমার ইমাম?
তোমার ফিরকা? তোমার শায়েখ?

না!
শুপারিশ করবে কুরআন
যদি তাকে আঁকড়ে ধরো,
আর সে করবে অভিযোগ—
“হে আল্লাহ! এ উম্মত আমাকে পরিত্যাগ করেছিলো।”

তখন আর কিছুই বলার থাকবে না,
কারণ তোমার মুখ বন্ধ থাকবে,
হাত বলবে, পা বলবে,
আর কুরআন—তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে।

👉 তাই আজ, এই মুহূর্তে ঘোষণা করি—
হে উম্মত!
ফিরে এসো কুরআনের দিকে!
ভুলে যাও হাদিসের ধোঁকা,
দূরে ফেলো শায়েখের ফতোয়া,
চূর্ণ করো ফিরকার দেয়াল,
আর আঁকড়ে ধরো আল্লাহর বাণী,
একমাত্র হিদায়াতের কিতাব—কুরআন।

আমি দীপ্ত শপথে উচ্চারণ করি—
আমার দ্বীন কুরআন,
আমার আইন কুরআন,
আমার নেতা কুরআন,
আমার মুক্তি কুরআন—
আর কিছু নয়! আর কিছু নয়!

إرسال تعليق

0 تعليقات